brandbazaar globaire air conditioner

টাঙ্গাইলে বেইলি ব্রিজের দায়সারা সংস্কারকাজে ঝুঁকিতে চলাচল

টাঙ্গাইলে বেইলি ব্রিজের দায়সারা সংস্কারকাজে ঝুঁকিতে চলাচল

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বারবার বেইলি ব্রিজের পাতাটন উঠে যাচ্ছে। এতে কর্তৃপক্ষ বারবার মেরামতকাজ করলেও কোনো কাজেই আসছে না। ফলে নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, বেইলি ব্রিজের কাজ দ্রুতই শেষ করে যানবাহন চলাচল শুরু করবে।

এর আগে রোববার (১৩ মার্চ) নাগরপুর-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের টেংরিপাড়া এলাকায় বেইলি ব্রিজের পাতাটন উঠে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

জানা যায়, গত ৮ মার্চ সড়কের টেংরিপাড়া এলাকায় বেইলি ব্রিজটির পাটাতন ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় তড়িঘড়ি করে ব্রিজের সংস্কারকাজ করে যানবাহন চলাচল শুরু করে। এরপর গত রোববার ১৩ মার্চ পুনরায় ব্রিজের পাতাটন উঠে যায়। এতে বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। বর্তমানে যাতায়াতকারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয় জানান, ব্রিজের সংস্কারকাজ শেষ করার দুদিন পর আবার ভেঙে যাচ্ছে। এতে একই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ স্থায়ী মেরামত করে না। ফলে জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

ওই সড়কের যানবাহনচালকরা জানান, এই সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল করে। অথচ স্থায়ীভাবে ব্রিজের কাজ করা হচ্ছে না। ফলে ভারী যানবাহন ব্রিজে উঠতেই এটির পাতাটন উঠে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে বন্ধ হয়ে যায় সড়কে যানবাহন চলাচল। এ ছাড়া ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজ পারাপার হতে হয় ভারী যাবনবাহনকে।

উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শওকত আলী জানান, গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি দীর্ঘদিন এই অবস্থায় পড়ে আছে। ব্রিজটির পাটাতন ভেঙে পড়ায় গত বছরের ২৩ আগস্ট ও ১৯ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনার পর বন্ধ ছিল। ভাঙার পর মেরামত করে কর্তৃপক্ষ। দুদিন পরপরই ব্রিজ নষ্ট হয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন শতাধিক যানবাহন ও ১ লাখ মানুষ এ ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করে। ব্রিজটি ভাঙা থাকায় তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আল আমিন বলেন, বেইলি ব্রিজটির মেরামতকাজ চলছে। আজকের মধ্যেই সংস্কারকাজ শেষ হয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সেতুটি অনেক পুরোনো এবং অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচল করায় বারবার এমন হচ্ছে।

 

Related posts