অতিরিক্ত গরমে নিজেকে সুস্থ রাখার কিছু কৌশল

অতিরিক্ত গরমে নিজেকে সুস্থ রাখার কিছু কৌশল

বৈশাখ যতোই এগিয়ে আসছে, ধীরে ধীরে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। ঘেমে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। অস্বস্তির অন্ত নেই।

কিন্তু গরম বলে তো আর বাড়িতে চুপচাপ বসে থাকা যায় না। বাইরে বের হতেই হবে। তবে এই গরমের মধ্যেও নিজেকে সুস্থ ও সতেজ রাখাটাই চ্যালেঞ্জের।

দুঃসহ গরমে যে কোনো মুহূর্তে যে কেউ পড়তে পারেন অসুস্থতায়। আবহাওয়ার তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে মানবদেহের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে।

তাই এসময়ে কেউ যদি নিজের দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার কৌশল আয়ত্ত করতে পারেন তাহলেই সম্ভব অসুস্থতার হাত থেকে রেহাই পাওয়া।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী কী করলে একটু স্বস্তি পাওয়া যায়-

১. সরাসরি রোদে যাওয়া থেকে বা অধিক পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে বেলা ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত সরাসরি রোদে যাবেন না। এই সময়টা দিনের সবচেয়ে বেশি গরম থাকে।

২. সূর্যের আলো থেকে চোখ সুরক্ষার জন্য রোদচশমা ব্যবহার করুন। এ ছাড়া সূর্যের আলোয় সরাসরি যাওয়ার পরিবর্তে মাথায় ছাতা, টুপি, পায়ে জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।

 

৩. সুযোগ থাকলে একাধিকবার গোসল করতে পারেন। বিশেষ করে, ঘুমানোর আগে গোসল করে দিলে শরীরের তাপমাত্রা কম থাকবে।

৪. শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করুন। দুঃসহ গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পরিমাণে পানি। তার সঙ্গে বেরিয়ে যায় লবণ। সেই পানিশূন্যতা দূর করতে স্বাভাবিকের বেশি পানি বা পানীয় পান করতে হবে। শরীরে পানি আর লবণের অভাব হলে মাংসপেশি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই বোতল বা ফ্লাস্কে পানি মজুদ রাখুন।

৫. পরিত্যাগ করুন চা, কফি ও অ্যালকোহল। গরমের অত্যাচারে যখন আপনি অতিষ্ঠ, ভুলেও পান করবেন না চা, কফি বা অ্যালকোহল। এগুলো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে আপনার শরীরে। বাড়িয়ে দেবে বেশি করে পানিশূন্যতা। আপনার তৃষ্ণা মেটাতে স্রেফ পানি পান করুন। অথবা কোমল পানীয়।

 

৬. তরল খাবার বেশি খান। স্যুপ, এনার্জি ড্রিঙ্ক, মিল্কশেক ও ফলের রস সেবন করুন। সবজির সালাদ বাদ দেবেন না। শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে লবণ। প্রয়োজনে খাবার স্যালাইন খান।

৭. পোশাক পরুন হালকা রঙের। এই গরমে একেবারেই ভুলে থাকুন গাঢ় রঙের পোশাকের কথা। গাঢ় রঙের পোশাক রোদ শোষণ করে বলে গরম অনুভূত হয় বেশি। কিন্তু হালকা রঙের পোশাক রোদ যতটুকু না শোষণ করে তার চেয়ে অধিক মাত্রায় বিকিরণ করে। গরমে সিনথেটিক পোশাক কখনোই পরবেন না। সব সময় সুতি ও ঢিলা পোশাক পরুন।

৮. অতিরিক্ত গরমে অনেকেরই অ্যাজমার সমস্যা তীব্র হয়। এ অবস্থায় অ্যাজমা রোগীরা যাতে গরমের অস্বস্তিকর পরিবেশের মুখোমুখি না হন, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসকের দেয়া চিকিৎসা নিয়মিতভাবে গ্রহণ করতে হবে; মেনে চলতে হবে উপদেশগুলো।

৯. পরিশ্রমের মাত্রা কমিয়ে আনুন। গরমে মাত্রাধিক ব্যায়াম করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তবে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখতে সীমিত মাত্রার ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। খুব ভোরে হেঁটে আসুন খোলা বাতাসে কিংবা সাঁতার কাটুন কিছুক্ষণ।

১০. প্রচণ্ড গরমে বাইরে বের হলে অনেকেরই চোখ জ্বালা করে। এ পরিস্থিতিতে চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে আরাম লাগবে। চোখ ভালো থাকবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment