অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি পেতে করণীয়

গরমকালে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে তা হয়ে ওঠে অসহনীয়। আর এই অতিরিক্ত ঘামের ফলে হাত,পা, মুখ সব কিছুতেই অস্বস্তিবোধ কাজ করে। আর ঘামের যে দুর্গন্ধ হয়, সেট আর নাই বা বললাম। তবে অনেক কারণেই এই ঘাম হতে পারে। তবে  হাত, পা, মুখ, বগল ঘামাকে ডাক্তারি ভাষায় হাইপারহিডরোসিস বা মাত্রাতিরিক্ত ঘাম বলা হয়। এটি এমন এক রোগ যা অনিয়ন্ত্রিত স্নায়ুপদ্ধতির জন্য হয়ে থাকে। 

ভিটামিন বি-১২র অভাবে এই রোগ হয়। তাই ভিটামিন বি-১২ যেসব খাদ্যে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় সেসব খাদ্য খান। যেমন কলা, ডিম, দুধ, গাজর, টমেটো, সবুজ শাক, মাছ, কাঠ বাদাম ইত্যাদি।

ভিটামিন বি পরিবার যেমন, বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫ যুক্ত খাদ্য বেশি খেতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন বি ট্যাবলেট গ্রহণ করুন।

বেশি করে পাকা ফলমূল ও শাকসবজি খাবেন। পাকা পেঁপে, তরমুজ, আম, কামরাঙ্গা, ফুলকপি, গাজর, বরবটি খুব উপকারী। শারীরিক দুর্বলতা থেকে এটি হয়ে থাকে। তাই পুষ্টিকর খাবার, শাকসবজি, ফলমূল বেশি পরিমাণে খান।

আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন এসপারাগাস, ব্রকলি, টারকি, গরুর মাংস, যকৃত, সাদা পেঁয়াজ, খাবার লবণ ইত্যাদির কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়। তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

চায়ের মধ্যের টনিক এসিড প্রাকৃতিক ঘাম বিরোধী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তাই দেড় লিটার পানির মধ্যে পাঁচটি চায়ের ব্যাগ মিশিয়ে সেটার মধ্যে ১০-১৫ মিনিট হাত-পা ভিজিয়ে রাখুন। তাছাড়া গ্রিন টি পান করুন। এতেও উপকার পাবেন।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment