অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ পুলিশের দীপ্তিমান দীপাঞ্জন

অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ পুলিশের দীপ্তিমান দীপাঞ্জন

অনেক প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি হতাশা ক্ষোভ অনুনয় অভিযোগ অনুযোগ আলো আঁধারের মাঝে বাংলাদেশ পুলিশের দীপ্তিমান দীপাঞ্জন হচ্ছেন অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান। প্রায়ই গৌরবোজ্জ্বল পুলিশ বিভাগকে নানা  প্রশ্নবিদ্ধতার মুখোমুখি হতে হয়, ঠিক সেই মুহূর্তে যার  সার্বিক  কর্মকাণ্ড এই বিভাগকে  সন্মাননা দিয়েছে এবং  ভাবমূর্তিকে  করেছে জাজ্বল্যমান।

.

রবীন্দ্রনাথের ভাষায়–

অন্ধকারের উৎস-হতে উৎসারিত আলো

সেই তো তোমার আলো!

সকল দ্বন্দ্ব-বিরোধ-মাঝে জাগ্রত যে ভালো

সেই তো তোমার ভালো॥

ঐতিহ্যবাহী আমাদের বাঙ্গালীপনায় ‘পুলিশ’ নামক শব্দটি হচ্ছে বরাবরই অতীব কৃচ্ছতায় ঢাকা, এই কৃচ্ছতাসাধনের ফলে অনেক সময় পুলিশ জনগণের বন্ধু হতে গিয়ে বলি হয়েছে পেশাদারিত্বের পাঠা, এমনই নিরস বিরস কিয়দংশে সারস হয়ে গেছি আমরা এই মহান পেশার পেশাদারেরা।

নিতান্তই মনের গভীরের কিছু বোধ নিঃসৃত করলাম, সর্বাগ্রেই শুধু বহুদোষে দুষ্ট পুলিশ? এ সমাজ সভ্যতা রাষ্ট্র সব কিছুর দায়বদ্ধতা শুধুই কি পুলিশের? এই প্রশ্নের জবাব নাই!

বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান  শুধু  তার ব্যক্তিসত্তাকেই নয় বরং পুরো বাহিনীর অবয়বকে একটি গ্রহণযোগ্য অবয়বে সমুন্নত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন সব সময়। হাজার পাওয়া না পাওয়ার মাঝে এই বহু-মাত্রিক পাওয়া তাকে করেছে ত্রাতা, আমরা হয়েছি ধন্য। তাই এই অসামান্য মানুষটির কিংবদন্তী‍তূল্য অবদানগুলোকে দেশ ও জাতির কাছে তুলে ধরে তাকে বরেণ্য করার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস-মাত্র।

মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে সাভারের বেদে সমাজ

১৭ অক্টোবর, ২০১৪ বেদেদের মাদকের ভয়াবহ থাবা থেকে মুক্ত করতে ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্থানীয় সাংবাদিক ও অন্য শ্রেণী-পেশার মানুষদের নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) হাবিবুর রহমান এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। সেখানে বেদেদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে টিকে থাকতে না পেরে এ সম্প্রদায়ের সদস্যদের অনেকেই ধীরে ধীরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলে জোরালো তথ্য উঠে আসে।

পুলিশ জানায়, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার পর থেকেই গ্রেফতারের শীর্ষে বেদে পল্লীর বাসিন্দারা। সাভারে মাদকের থাবা বিস্তারে এই সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ছিল পুলিশ প্রশাসন। মাদক গ্রহণ, সরবরাহ, বিপণন সব ক্ষেত্রেই এ সম্প্রদায়ের ভূমিকা মূলত তাদের ঐতিহ্যকেই ম্লান করে দিয়েছিল। সেই ঐতিহ্যকে রক্ষা করে সম্প্রদায়কে মাদকমুক্ত করার চ্যালেঞ্জ নিয়েই মূলত পুলিশের এই প্রশংসনীয় আয়োজন।

অবশেষে ঢাকা জেলা পুলিশের নেয়া উদ্যোগে সাড়া দিয়ে মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে সাভারের ঐতিহ্যবাহী বেদে সমাজের ৮ শ পরিবার। মাদক ব্যবসা করবেন না বলে ধর্মীয় গ্রন্থ ছুঁয়ে শপথ নিয়েছেন বেদেদের ২২ সরদার। সাভার থানা অডিটোরিয়ামে ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে বেদে সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে পুলিশের দ্বিতীয় সভায় এই দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় সাভার থানা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ সাভার সার্কেল এএসপি শফিকুর রহমান, সাভার মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, সাভার পৌর মেয়র হাজী রেফাত উল্লাহ, সাভার প্রেসক্লাবের সভাপতি জাভেদ মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন সরকার, পৌর কাউন্সিলর মানিক মোল্লা, সাভার বাজার রোড ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওবায়েদুর রহমান অভি, বিশিষ্ট সমাজসেবক সালাউদ্দিন খান নঈম ও বেদে নেতা সাবেক প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে পুলিশের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান উপস্থিত সবাই। এ সময় বেদে সম্প্রদায়ের নেতারা তাদের বিভিন্ন সুখ-দুঃখের চিত্র তুলে ধরেন। তারা বলেন, বৈষম্যের কারণে সমাজ থেকে পিছিয়ে পড়া বেদেরা এখন তাদের পেশায় সচ্ছল জীবনযাপন করতে না পেরে মাদকের পেশায় ঝুঁকে পড়ছিল। বেদে নেতা হানিফ সম্রাট ও রমজান জানান, তাদের সমাজে এখন লেখাপড়ার সংখ্যা বাড়ছে, তাদের শিক্ষাজীবনে আনতে হলে স্থানীয়ভাবে শিক্ষা ও স্কুলের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া স্যানিটেশন, রাস্তাঘাট ও আবাসন ব্যবস্থাপনায় তাদের সহযোগিতা করলে তারা দ্রুতই সমাজের মূল ধারায় ফিরে আসতে পারবে।

তিন বেদে কন্যার বিয়ের আয়োজন

লিমা, মাছেনা, মজিরনের নতুন জীবন শুরু হতে যাচ্ছে উৎসবের রঙ লেগেছে বেদে পল্লীতে। শুক্রবার (০৭ অক্টোবর) ওদের বিয়ে। চোখেমুখে নানা স্বপ্ন আর চমৎকার ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর তিন তরুণী। ভোর থেকেই সবার মনে বেজে চলেছে বিয়ের সানাই। উৎসবের রঙ লেগেছে বেদে পল্লীতে।

মজিরন আক্তার (১৮),  মাছেনা খাতুন (১৮) ও লিমা বিবি (১৯) এই তিন তরুণীর জীবনে শুক্রবার ভিন্ন একদিন। জীবনে নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখছেন তারা। তিন-তিনটি বিয়ের আয়োজনে এখন ধুমধাম কাণ্ড গোটা বেদে পাড়ায়।

গ্রামের সবার মুখেই এখন ওদের কথা। পুরো গ্রামের মানুষের দাওয়াত। আসবেন বাইরের অতিথিরাও। তবে যাদের বিয়ে, তাদের পরিবারে আয়োজন নিয়ে নেই কোনো দুঃচিন্তা। এক রকম নির্ভার আর উৎফুল্ল চিত্তেই রয়েছে তরুণীদের পরিবার। কারণ সব আয়োজনের নেপথ্যেই পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তিনি হাবিবুর রহমান, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি। বিয়ের কেনাকাটা থেকে কন্যা দান, অতিথি আপ্যায়ন, উপহার, সব আয়োজনই হচ্ছে তার নিবিড় তত্ত্বাবধানে। মেয়েগুলো যেন তারই! ওরাও জানে হাবিবুর রহমান তাদের পিতৃসম। বাবার হয়ে দায়িত্ব ও কর্তব্যের সব বোঝা যে নিজের ঘাড়েই তুলে নিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

কেন? প্রশ্ন মাটিতে না পড়তেই চটপট উত্তর মজিরন আক্তারের বাবা মোস্তাকিন মিয়ার। জানান, মেয়েকে জন্ম দিয়েছিলাম। ছিলাম কন্যাদায়গ্রস্ত বাবা। অভাব দারিদ্র্য ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। অন্ধকার আর কুসংস্কার আচ্ছন্ন আমাদের গোটা গ্রাম। আজ প্রকৃত বাবার দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

‘‘বছর তিনেক আগের অতীতে ফিরে যান মোস্তাকিন। মেয়ের বয়স তখন সবে ১৫। বিয়ে দেওয়ার সব আয়োজন চূড়ান্ত। তবে গরীব মানুষ। আপনারা যাকে বলেন বাল্য বিবাহ। এটাই ছিল আমাদের রীতি। হাবিবুর রহমান স্যার তখন ঢাকার পুলিশ সুপার। খবর পেয়ে ছুটে এলেন আমার আঙিনায়। বোঝালেন বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে‍,’’ যোগ করেন তিনি।

আরও বললেন, স্যার (হাবিবুর রহমান) বরকে যখন স্থিরই করে ফেলেছেন। ভেঙে ফেলার প্রয়োজন নেই। মুলতবি রাখুন। বয়স হোক। আমি নিজেই আয়োজন করে আপনার মেয়ের বিয়ে দেবো। হলোও তাই। শুক্রবার তিনি নিজে থেকেই মেয়েকে তুলে দিচ্ছেন বরের হাতে।

লিমা বিবি আর মাছেনা খাতুনের গল্পগুলোও অভিন্ন। পোড়াবাড়ি সমাজকল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক রমজান আহামেদ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, হাবিবুর রহমান স্যার ঢাকার এসপি থাকা অবস্থাতেই বেদেদের জীবন-মান উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তার হাত ধরেই বদলে যেতে শুরু করে বেদেপল্লী। উত্তরণ নামের একটি পোশাক তৈরি কারখানা স্থাপন করা হয় এখানে। যেখানে কাজ করছেন অসংখ্য বেদে নারী। নিজেরাই হয়েছেন স্বচ্ছল। আমরা বলেছি- বর-কনের সুন্দর জীবন যাপনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নিয়েছেন হাবিব স্যার। তাদের প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বিয়ের আয়োজন এখন, তা নিয়েই সরগরম গোটা এলাকা। যেখানে হাবিবুর রহমান স্যার আমাদের মধ্যমণি।

পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর!

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরতে ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। দুটি তলায় অবস্থিত জাদুঘরটি। বেজমেন্টে ‘বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ এবং গ্রাউন্ড ফ্লোরে ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’। বঙ্গবন্ধু গ্যালারির প্রবেশমুখে বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ কিছু ছবি এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুটি ডকুমেন্টারি। আর কাঁচের দেয়ালে ঘেরা বাক্সে থরে থরে সাজানো মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পুলিশ সদস্যদের ব্যবহূত টুপি, বেল্ট, টাই, স্টিক, ডায়েরি,বই, পরিচয়পত্র, চশমা, কলম, মেডেল, বাঁশি, মাফলার,জায়নামাজ, খাবারের প্লেট, পানির মগ, পানির গ্লাস, রেডিও, শার্ট,প্যান্ট, র‌্যাঙ্ক ব্যাজসহ টিউনিক সেট, ক্যামেরা, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, মানিব্যাগ, লোহার হেলমেট, হ্যান্ড মাইক, রক্তভেজা প্যান্ট-শার্ট, দেয়ালঘড়িসহ আরো কত কী! আরেক পাশে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ব্যবহূত ৭.৬২ এমএম রাইফেল, ২ ইঞ্চি মর্টার, মর্টার শেল, সার্চ লাইট,রায়ট রাবার শেল, রিভলবার, .৩০৩ এলএমজি, মেশিনগান, ৭.৬২ এমএম এলএমজি, .৩২ বোর রিভলবার, .৩৮ বোর রিভলবার, .৩০৩ রাইফেল, ১২ বোর শটগান, ৯ এমএম এসএমজিসহ আরো অনেক অস্ত্র। আছে মোগল, ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের পুলিশের ইউনিফর্ম এবং পুলিশ সদস্যদের ব্যবহ…ত তরবারি, চাবুক, শিঙা, রামদা, ঘোড়ার গাড়িসহ অন্য জিনিসপত্র।

জাদুঘর প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে: জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন  অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান। তিনি শোনান এই জাদুঘর তৈরির পেছনের কথা। বললেন,‘আমাদের এডিসি মোস্তাক আহমদ একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন। সেটি তৈরি করতে গিয়ে শহীদ পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন স্মারক সংগ্রহ করি। রাজারবাগে পঁচিশে মার্চ যে পুলিশ সদস্যরা প্রতিরোধ তৈরি করেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলি। সেই থেকেই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার বিষয়টি মাথায় আসে। এরপর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের টেলিকম ভবনে প্রাথমিকভাবে সংগ্রহগুলো সংরক্ষণ করি। ২৩ জানুয়ারি স্থায়ী ভবনে সংগ্রহগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। এতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরাও সহায়তা করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত বেতারযন্ত্র: একাত্তরের পঁচিশ মার্চ রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কন্ট্রোলরুমে রাখা বেতারযন্ত্রের মাধ্যমে বেতার অপারেটর শাহজাহান মিয়া রাজারবাগ আক্রান্ত হওয়ার খবরটি দেশের বিভিন্ন পুলিশ লাইন্সে প্রেরণ করেন। ঘোষণাটি ছিল,‘পূর্ব পাকিস্তানের সব পুলিশ লাইন্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পাকিস্তান আর্মি রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আক্রমণ চালিয়েছে। আপনারা নিরাপদে আশ্রয় নিন।’

বেতারযন্ত্রটি জাদুঘরে রাখা আছে। পাগলা ঘণ্টা: পঁচিশ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আক্রমণ করলে তৎকালীন আইজিপির বডিগার্ড কনস্টেবল আব্দুল আলী পাগলা ঘণ্টা বাজিয়ে পুলিশ সদস্যদের জড়ো করেন। পাগলা ঘণ্টার আওয়াজ শুনে পুলিশ সদস্যরা অস্ত্র নিয়ে সমবেত হন। তার পরই ‘জয় বাংলা’স্লোগান দিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করেন। সেই ঐতিহাসিক পাগলা ঘণ্টাটি এখন জাদুঘরে সংরক্ষিত।

পৃষ্ঠাজুড়ে মুক্তিযুদ্ধ: জাদুঘরে রয়েছে একটি লাইব্রেরিও। এখানে মূলত মুক্তিযুদ্ধনির্ভর বইগুলো রাখা হয়েছে। আছে পুলিশ সদস্যদের আত্মজীবনী, রণাঙ্গনের স্মৃতি, পুলিশের নানা অবদানের ওপর লেখা বই। পাঠকরা চাইলে লাইব্রেরিতে বসে বই পড়তে পারেন। চারটি কম্পিউটারের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন বই পড়তে পারবেন। আছে আরো লাইব্রেরির পাশেই স্যুভেনির শপ। সেখান থেকে নির্ধারিত মূল্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা—প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ খণ্ড’ বই,শহীদ পুলিশের রক্তের ঋণ নামক বই, প্লেট, মগ, কলমদানি, চাবির রিং, ব্যাগ, গেঞ্জি, পেপার ওয়েট, কলম ও ক্রেস্ট কিনতে পারবেন।

নিয়োগপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ দুর্নীতিমুক্ত

নিয়োগ-প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের ব্যবস্থা করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, নিয়োগ-প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে পুলিশ। এর অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে বক্তব্য দেন ইমাম ও পুলিশ কর্মকর্তারা। তারা বলেন, পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেতে ঘুষ লাগবে না। যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে।

ধামরাইয়ের ধুলিভিটা বায়তুন নুর জামে মসজিদে উপস্থিত থেকে ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম মুসল্লিদের বলেন, ‘স্বচ্ছতার সঙ্গে পুলিশের কনস্টেবল পদে জনবল নিয়োগের জন্য আমরা আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি। আশপাশের লোকজনদেরও এ বিষয়ে সতর্ক করে দেবেন।’

সাভার উপজেলায় ১৫৫টি, কেরানীগঞ্জে ১০২, দোহারে ৮০ ও নবাবগঞ্জে ১০০টি মসজিদে গতকাল জুমার নামাজের পর এ রকম প্রচার চালানো হয়।

ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহের বিখ্যাত উক্তি- যে দেশে গুণীর কদর নেই সেই দেশে গুণী জন্মাতে পারে না ,  সময় এসেছে গুণীজনের গুণকে স্মরণ করার, সময় এসেছে পুলিশ বাহিনীর উৎকর্ষতাকে ছড়িয়ে দেবার, আলোকিত হবার এবং আলোকিত করবার, নতুন প্রজন্মের পুলিশিং হোক একই গ্রহের সামাজিক পারিবারিক এবং রাষ্ট্রিক, আসুন এই প্রত্যয় বুকে ধারণ করি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment