অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সরকারের পদত্যাগ দাবি মান্নার

অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সরকারের পদত্যাগ দাবি মান্নার

কুমিল্লায় শারদীয় দুর্গাপূজায় ঘটা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এসব ঘটনার জন্য তিনি সরকারকে দায়ী করেছেন। এ ঘটনা নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতায় সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাকিব আনোয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তার এ দাবির কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে মান্না বলেন, কুমিল্লার ঘটনা এবং একে কেন্দ্র করে ঘটা কোনো ঘটনায় সরকার দায়িত্বশীল আচরণ করেনি। তারা কোনো সহিংসতা ঠেকাতে পারেনি। যারা এসব ঘটনায় জড়িত পুলিশ তাদের গ্রেফতার না করে নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করেছে। মানুষ ভয়ে ঘরে থাকতে পারছে না। গ্রাম খালি হয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লা, কুড়িগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়মিত এসব খবর আসছে।

গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সরকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে কেবল সরকারের বিরোধিতা, সমালোচনা দমন করতে এবং নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কাজে ব্যস্ত রেখেছে। তাদের মূল দায়িত্ব জনগণের জানমালের হেফাজত করা। আমাদের মত ধর্মীয় সহিষ্ণুতার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের দায় সম্পূর্ণভাবে এই দখলদার সরকারের।

ডাকসুর দুইবারের এই সাবেক ভিপি বলেন, গ্রাম পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। নিরীহ নিরপরাধ হিন্দু, মুসলমান নির্যাতন, হত্যার শিকার হচ্ছে আর সরকার ব্যস্ত আছে রাষ্ট্রীয়ভাবে জন্মদিনের পালনের উৎসব নিয়ে। এই সরকারের কাছে জনগণের জীবনের কোনো মূল্য নেই। তারা কোরআন শরীফের মর্যাদা রক্ষা করতে পারে না। সংখ্যালঘুদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না। সরকারের ব্যর্থতার কারণে আজকে অনেকে বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন।

সরকারের পদত্যাগ দাবি করে মান্না বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়। তারা দেশের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে কোনো কার্যকর ভূমিকা নিতে ব্যর্থ। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে তাদের উদ্যোগ নেই। বরং সরকারের মদদপুষ্ট সিন্ডিকেটই এর পেছনে দায়ী। তারা মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না। সম্পদের নিরাপত্তা দিতে পারে না। ধর্মীয় মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে পারে না। এই সরকারকে জনগণ চায় না। এই মুহূর্তে দখলদার সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। অন্যথায় যেকোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য সরকারকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন