আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণী শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউপি’তে নাটেহরা গ্রামে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে অনশনে বসে। ওই তরুণী কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব সদরের নজমিয়ার মেয়ে মৌসুমী আক্তার। ভৈরবে থাকাকালীন হাজীগঞ্জের নাটেহরা গ্রামের মাঝি বাড়ির লালু মাঝির ছেলে রাজন মাঝির সাথে ওই তরুণীর প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। স্থানীয়রা জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার নাটেহারা গ্রামের মাঝি বাড়ির লালু মাঝি ও নজমিয়া তারা আপন ভাই। নজমিয়া দীর্ঘদিন আগে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে হাজীগঞ্জ ত্যাগ করে ভৈরবে চলে যান। বর্তমানে তারা ভৈরবেই বসবাস করছেন। অনশনকারী মৌসুমী আক্তার জানান, তার বাবা নজমিয়া ইতিপূর্বে মুঠোফোনে এক প্রবাসী যুবকের সাথে বিয়ে পড়ান। কিন্তু সব জেনেও রাজন (২৫) কাজের ছলে ভৈরব গিয়ে মৌসুমীকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে। এক পর্যায়ে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করে একটি আপত্তিকর ছবি ধারণ করে। শুধু তাই নয়, এটি তার প্রবাসী স্বামীকে সেই ছবিটি পাঠিয়ে দেয় এবং এ সম্পর্কের কথা প্রবাসী স্বামীকে জানিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রবাসী স্বামীর সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মৌসুমীর ভগ্নিপতি মাছুম জানান, মৌসুমীকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে সর্বনাশ করেছে। তার সুষ্ঠু সমাধান পেতে আমরা হাজীগঞ্জে এসেছি। এ খবর পেয়ে লালুর ছেলে রাজন আত্মগোপনে চলে যায়। রাজনের মা শিখা রানী বলেন, দুই মাস আগে ঘটনাটির আঁচ পেয়েছি। এখন ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি যেভাবে সিদ্ধান্ত দিবেন, সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিবো। ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন গাজী বলেন, বিষয়টি এলাকায় বসে সমাধান দিব। হাজীগঞ্জ থানার ওসি হারুনুর রশীদ জানান গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনাটি মীমাংসার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
Comments are closed.