অবশেষে দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ ঢোকার প্রক্রিয়া শুরু

পাঁচ দিন অপেক্ষায় থাকার পর অবশেষে ভারতীয় পেঁয়াজভর্তি ট্রাক হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পণ্য প্রবেশের ছাড়পত্র নিশ্চিত করতে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় হিলি স্থলবন্দরের বাংলাদেশ কাস্টমস কাজ শুরু করছে। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় (ভারতীয় সময় ১০টা) পেঁয়াজভর্তি ট্রাকগুলোর বাংলাদেশে প্রবেশের ছাড়পত্র দিতে কাজ শুরু করে বন্দরটির ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। 

দুই দেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, সকাল ১১টার পর ট্রাকগুলো হিলিবন্দরে প্রবেশ করতে থাকবে।

এর আগে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক চিঠিতে পেয়াঁজ রপ্তানির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

ওই চিঠির বরাত দিয়ে পেঁয়াজ আমাদানীকারক হারুনুর রশিদ জানান, আগের খোলা ঋণপত্রের বিপরীতে গেল রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজই প্রবেশের অনুমতি পাবে।

এসময় পর্যন্ত কি পরিমাণ পেঁয়াজের টেন্ডার হয়েছে নিশ্চিতভাবে তা জানা না গেলেও তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে অন্তত ২শ’ পেঁয়াজভর্তি ট্রাক। গরমের কারণে এসব ট্রাকের পেয়াঁজ নষ্ট হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

এদিকে, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ায় সাতক্ষীরা ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েও আজ দেশে পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকবে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এর আগে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বিপরীতে যোগান ঠিক রাখতে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে এমন ঘোষণা আসতে না আসতেই অস্থির হয়ে উঠে দেশের বাজার। এক রাতের ব্যবধানে রাজধানী ঢাকার আড়তগুলোতে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে যায় এই নিত্যপণ্যের দাম। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ টাকা দরে। আর ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। অনেক আড়তদার আবার  বিক্রিও বন্ধ করে দেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন