অল্প বয়সে হেফজ সম্পন্ন করলেন আব্দুল্লাহ।

অল্প বয়সে হেফজ সম্পন্ন করলেন আব্দুল্লাহ।
মাহফুজ হাসান,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
“যদি আগুন লেগে ধ্বংস হয়ে যায় পৃথিবীর সব বইয়ের দোকান,বিশ্ব থেকে ফুরাইবে না পবিত্র কোরআন “
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মাত্র ১০ বছর ৬ মাস বয়সে হাফেজ হয়ে চমক সৃষ্টি করলেন।আব্দুল্লাহ উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের চর বিশ্বনাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের একমাত্র ছেলে।
পবিত্র কোরআনই একমাত্র কিতাব, যেটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মুখস্থ করা হয়। কোরআনে কারিম মুখস্থকারীর জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নানা পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। একাধিক হাদিসে কোরআন তেলওয়াতকারী, কোরআনের হাফেজ ও কোরআনের ধারক-বাহকদের মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। এসব হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, পবিত্র কোরআনের ধারক-বাহকদের সম্মানের কথা।
বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মের প্রতি মমত্ববোধ এবং আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য নিজে যেমন কোরআন তেলাওয়াত শিখেন, তেমনি সন্তানদের শেখান। অনেকে আবার সন্তানদের পবিত্র কোরআনের হাফেজ বানান।
শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের আনাচে-বানাচে রয়েছে লাখ লাখ হাফেজ। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী কোরআনের হাফেজ হন। অবাক করার মতো বিষয় হলো, বিপুল সংখ্যক কোরআনের হাফেজদের নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। কেউ বুড়ো বয়সে, কেউ কিশোর বয়সে, কেউ আবার শিশু অবস্থায় কোরআন মুখস্থ করছেন। অন্ধ, নারী এমনকি শুধু শুনে শুনে কোরআন মুখস্থ করার নজির রয়েছে। পবিত্র কোরআন মুখস্থ করার যেমন নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই, তেমনই দিনে কিংবা মাসে কে কতটুকু মুখস্থ করবে তারও বিধি-নিষেধ নেই। এভাবেই বাংলাদেশের অনেকে অল্প বয়সে, কম সময়ে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র ১০ বছর ৬ মাস বয়সে পুরো কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছেন।   ঢাকার কাওলায়  অবস্থিত
জামিয়া কাসেমিয়া শামসুল উলূম মাদরাসার ছাত্র আব্দুল্লাহ।
চাকুরিজীবি পিতার একমাত্র ছেলে আব্দুল্লাহ,তার পিতা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।ইসলামের আলোয় সন্তানের জীবনকে আলোকিত করতে, ছেলেকে ভর্তি করেন মাদ্রাসায়।ছেলে হাফেজ হওয়াতে আনন্দে আপ্লুত আনোয়ার ও তার পরিবারসহ স্বজনরা।
আব্দুল্লাহ সম্পর্কে তার চাচা শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের পরিবারে ১ম একজন হাফেজ আমরা খুবই আনন্দিত আল্লাহ তায়ালার  নিকট  লাখো কুটি শুকরিয়া । আমরা সকলের নিকট দোয়া চাই, যাতে সে ইসলামের দাওয়াত প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌছে দিতে পারে,  সে শিক্ষা গ্রহণ করেছে যেন অন্যদেরও  শিক্ষা দিতে পারে।  একজন কোরআনের হাফেজ শুধু আমাদের নয়! দেশ ও জাতির সম্পদ।
জানা যায়,করোনা মহামারির প্রতিবন্ধকতা না থাকলে আরও আগেই হেফজ সম্পন্ন করতে পারতো আব্দুল্লাহ।
শিক্ষক সাইফুর রহমান সাইদ জানান,
আলহামদুলিল্লাহ!
 আমার এই ছাত্র আমার হাতে হিফজ সম্পন্ন করেছেন । আমি ওস্তাদ হিসেবে তাঁর উজ্জল ভবিষ্যত কামনা করছি।আমার হাতে গড়া সবচেয়ে কনিষ্ঠ ছাত্রের মধ্যে অন্যতম একজন ছাত্র মোহাম্মদ  আব্দুল্লাহ বিন আনোয়ার !সবাই আব্দুল্লাহর জন্য দোয়া করবেন।আমার জন্যও দোয়া চাই!

আপনি আরও পড়তে পারেন