অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

১২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর মার্শ-ম্যাকডার্মট ৬৩ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন। ম্যাকডার্মটকে সাকিব ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন। এরপর হ্যানরিকস-মার্শকে ফিরিয়ে ম্যাচের মড় ঘুরিয়ে দেন। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৩। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজ মাত্র ১ রান দিয়ে ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২২। কিন্তু ১১৭ রানের বেশি করতে পারেনি অজিরা। বাংলাদেশ জিতে ১০ রানে। টানা তিন ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশঃ ১২৭/৯ (২০ ওভার)

অস্ট্রেলিয়া: ১১৭/৪ (২০ ওভার)

ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন মার্শ-ম্যাকডার্মট

ব্যাটিং অর্ডার ওপরে উঠে এসেও কিছু করতে পারেননি ম্যাথু ওয়েড। শুরুতেই ফেরেন নাসুমের ঘূর্ণিতে। এরপর ক্রিজে এসে খেলার হাল ধরেন মিচেল মার্শ। তিনি প্রথম দুই দিনেও বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিলেন। এই ম্যাচে বেন ম্যাকডার্মটকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে থাকেন সাবলীল খেলা। এখন পর্যন্ত ৪৫ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন। হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের জয়ে।

বাংলাদেশ : ১২৭/৯ (২০ ওভার)

শুরুতেই ওয়েডকে ফেরালেন নাসুম

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে সাজঘরে পাঠালেন নাসুম আহমেদ। ওয়েড নাসুমের মিডল ও লেগ স্ট্যাম্পের মাঝে ফেলা বল ফাইন লেগে খেলেছিলেন; ব্যাটে-বলে ঠিক মতো হয়নি; বৃত্তের মধ্যেই ধরা পড়েন শরিফুলের হাতে। ৫ বলে মাত্র ১ রান আসে ওয়েডের ব্যাট থেকে।

অস্ট্রেলিয়া: ৯/১ (২ ওভার)

এলিসের হ্যাটট্রিক, ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ১২৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। চারে খেলতে নেমে বাংলাদেশ অধিনায়ক ব্যাটিং করেন ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত। মাহমুদউল্লাহ ৫২ বলে দেখা পান হাফসেঞ্চুরির। ৪টি চারে ইনিংসটি সাজানো ছিল। শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ার অভিষিক্ত বোলার নাথান এলিস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১২৭/৯ (নাঈম ১, সৌম্য ২, সাকিব ২৬, মাহমুদউল্লাহ ৫২, আফিফ ১৯, শামীম ৩, সোহান ১১, মেহেদি ৬, মুস্তাফিজ ০, শরিফুল ০*; টার্নার ১-০-২-০, হ্যাজেইলউড ৪-০-১৬-২, জ্যাম্পা ৪-০-২৪-২, অ্যাগার ৪-০-২৩-০, এলিস ৪-০-৩৪-৩, মার্শ ১-০-১৫-০, ক্রিস্টিয়ান ২-০-৯-০)।

এবার রানআউটে ফিরলেন সোহান

এবার রানআউট হয়ে ফিরলেন নুরুল হাসান সোহান। ড্যান ক্রিস্টিয়ানের বলে কাভারে ড্রাইভ করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বল সরাসরি যায় হ্যারিকসের হাতে। মাহমুদুল্লাহ শট খেলেই রানের জন্য ছুটতে থাকেন; অপর প্রান্তে থাকা সোহান বুঝতে পারেননি কী করবেন, একটু এগিয়ে এসে থেমে গিয়েছিলেন, এটাই যেনো কাল হলো। আসার আগেই হ্যানরিকসের থ্রো আঘাত হানে উইকেটে। মাত্র বলে ১১ রান করা সোহানের সম্ভাবনাময়ী ইনিংসটি থেমে যায়। এর আগে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গেই ক্যারির থ্রোতে আউট হন আফিফ।

বাংলাদেশ : ৯৮/৬ (১৬ ওভার)

আফিফের পর ফিরলেন শামীম

নুরুল হাসান সোহানের ওপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারলেন না শামীম হোসেন। হেইজেলউডের বলে ক্রস ব্যাটে খেলে আউট হলেন তিনি ৮ বলে ৩ রান করে।

হেইজেলউডের বলটি পুল করার মতো শর্ট ছিল না। স্কিড করা লেংথ বলে ক্রস ব্যাটে অন সাইডে চালান শামীম। বল ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে উঠে যায় ওপরে। শর্ট মিড উইকেট থেকে পেছনে দিকে খানিকটা দৌড়ে ক্যাচ নেন বেন ম্যাকডারমট।

১৩.৪ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৮১। নতুন ব্যাটসম্যান সোহান।

রান আউটে আফিফের বিদায়

১৩ বলে ১৯ করে আশা দেখানো আফিফও ফিরে গেলেন। ড্যান  ক্রিস্টিয়ানের বলে দ্রুত এক রান নিতে গিয়ে কাটা পড়লেন আউটে। অ্যালেক্স ক্যারির থ্রো সরাসরি স্ট্যাম্পে লাগলে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। উইকেটে এসেছে নতুন ব্যাটসম্যান শামিম হোসেন পাটোয়েরি। ৩০ বলে ২৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৩ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান ৭৯।

আফিফ-মাহমুদউল্লাহ এগিয়ে নিচ্ছেন বাংলাদেশকে

সাকিবের আউটের পর উইকেটে থাকা মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে যোগ দেন আফিফ হোসেন। আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা আফিফ দশম ওভারের তৃতীয় বলে অ্যাগারকে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেন। পরের ওভারে দুর্দান্ত টাইমিংয়ে ন্যাথান এলিচকে চার মেরে রানের চাকা সচল রাখছেন আফিফ। ১১ ওভার শেষে বাংলদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ৭১।

রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট সাকিব

পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেটে ২৮ রান করার পর, রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে বড় শট খেলতে যেয়ে নবম ওভারে আউট হন সাকিব। ওভারের প্রথম বলে জ্যাম্পার ডেলিভারিতে লং অফে ধরা পড়েন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২৬। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৭।

পাওয়ার প্লেতে নড়বড়ে বাংলাদেশ

ইনিংসের প্রথম ১৩ বলের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। উইকেটে এখন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দেখেশুনে বাংলাদেশের ইনিংসকে একটা ভিত দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। ছয় ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৮ রান।

শুরুতেই বিদায় সৌম্য-নাঈমের

নিজের প্রথম ওভারেই আঘাত হেনেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার জশ হ্যাজেলউড। বাংলাদেশ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমকে (১) উইকেটের পেছনে ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন অজি পেসার। পরের ওভারের প্রথম বলে ফিরে গেছেন সৌম্য সরকার (২)। ক্রিজে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান।

স্কোর : ৩ ওভারে ২ উইকেটে ৯

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, খেলা হবে পুরো ওভার

টানা পাঁচবার হারের পর অবশেষে টস জিতলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। একাদশে কোন পরিবর্তন আসেনি বাংলাদেশ দলে। অস্ট্রেলিয়া দলে এসেছে তিন পরিবর্তন। দলে ফিরেছেন বেন ম্যাকডারমট, ডেন ক্রিস্টিয়ান, নাথান এলিস। বাদ পড়েছেন জশ ফিলিপে, মিচেল স্টার্ক ও অ্যান্ড্রু টাই।

বাংলাদেশ একাদশ : মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ

অস্ট্রেলিয়া একাদশ : অ্যালেক্স ক্যারি, বেন ম্যাকডারমট, মিচেল মার্শ, ময়জেস হেনরিকেস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), অ্যাশটন টার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, ন্যাথান এলিস, অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজলউড।

খেলা হবে পুরো ওভার

বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজে তৃতীয় ম্যাচে বেরসিক বৃষ্টির বাঁধায় টস এক ঘন্টারও বেশি সময় বিলম্ব হয়েছে। তবে দেরীতে ম্যাচ শুরু হলেও কার্টেল ওভারে না গিয়ে পুরো ওভারে হবে ম্যাচটি। সন্ধ্যা ৭টায় টস করতে নামবে দুই অধিনায়ক।

টসের ১৫ মিনিট পরে মাঠে গড়াবে খেলা। দেরীতে ম্যাচ শুরু হওয়ায় ইনিংস বিরতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ১০ মিনিট।

এর আগে বিকেল ৪টা ১০ মিনিট থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে থাকলেও ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি। বিকেল সাড়ে ৫টায় টস হওয়ার কথা থাকলেও বিলম্বিত হয়। দেড় ঘন্টা পরে বৃষ্টি থামায় টস করতে নামবে দুই অধিনায়ক।

আপনি আরও পড়তে পারেন