আইজিপির স্ত্রী পরিচয়ে কনস্টেবল নিয়োগে তদবির করা সেই রুমা গ্রেফতার

আইজিপির স্ত্রী পরিচয়ে কনস্টেবল নিয়োগে তদবির করা সেই রুমা গ্রেফতার

আইজিপি’র স্ত্রী পরিচয় দিয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারকে ফোন করে কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য তদবির করেছিলেন রুমা আক্তার (৩২)। তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।

শনিবার পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড চাইলে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রুমা আক্তারের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, গত ৭ নভেম্বর সকাল ১১টা সাত মিনিটে ওই নারী টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের ব্যক্তিগত মুঠোফোন কল করে নিজেকে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের স্ত্রী পরিচয় দেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে একজন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য চাপ দেন এবং ১১টা ২৪মিনিটে মুঠোফোনে এসএমএসে ওই প্রার্থীর তথ্য পাঠান।

এরপর পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আইজিপি’র স্ত্রী পরিচয় দেয়া ওই নারী একজন প্রতারক। তার নাম রুমা আক্তার। তিনি বাঘেরহাটের চিতলমারি উপজেলার আসলাম মিয়ার স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার সাভার থেকে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রতারক রুমা আক্তার মুঠোফোনে টাঙ্গাইলের এসপিকে বলেছিলেন- আপনি কি পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার। আমার বাসায় একজন কাজের মেয়ে রয়েছে। তার ভরণ-পোষণ এবং বিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। একটি ভালো ছেলে পেয়েছি ওই কাজের মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য। এজন্য ছেলেটিকে পুলিশের কনস্টেবল পদে একটি চাকরি দিতে হবে। আমি ছেলেটির তথ্য পাঠালাম। ওর জন্য কনস্টেবল পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিবেন।

এ নিয়ে সন্দেহ হলে পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার আটিবাজার ঘাটারচর এলাকায় রুমা আক্তারের অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে সাভার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে রুমাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের জন্য তদবির করায় সন্দেহ হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় পরিচয়দানকারি ওই নারী একজন প্রতারক। তার নাম রুমা আক্তার। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাভার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন