আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে বাছাই পর্ব খেলতে হবে

আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে বাছাই পর্ব খেলতে হবে

যো জিতা ওহি সিকান্দার – এমন সমীকরণে মাঠে নেমে হেরে গেলেন সাকিব আল হাসান। সিকান্দার হয়ে গেলেন বাবর আজম।

রোববার ভোরে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে হাসল নেদারল্যান্ডস।  ডাচদের সঙ্গে হেসেছিল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান।

প্রোটিয়াদের হারে ভারত নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনাল, অন্যদিকে সেমির পথ অনেকটা পরিষ্কার হয় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের।

আর সেই পথ ধরে শেষ চারের সিঁড়িটা ধরে ফেলেছে পাকিস্তান।  বাবর আজমদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে পরাজয়ের হতাশাকে আরও ভারি করেছে এক দুঃসংবাদ।

তাহলো পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি আতিথেওতা পাবে না টাইগাররা।  প্রথম পর্বে লড়াই করে সুপার টুয়েলভের যোগ্যতা অর্জন করে নিতে হবে।  এক কথায় আগামী বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের যাত্রাটা কঠিন হয়ে গেছে।

অথচ ফলের বিচারে এই বিশ্বকাপটাই সেরা বাংলাদেশের।  তবে সে কথায় শুকনো গলা ভিজলে মন ভিজল না আর।

তিন পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করেছে বাংলাদেশ।  ০২৪ বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডের  ‘বাছাই পর্বে’ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। যে আসরটি অনুষ্ঠিত হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে।

বাছাইপর্বে শুধু বাংলাদেশ নয়, খেলতে হবে আফগানিস্তানকেও।

এই পেক্ষাপটে সুখবর পেয়েছে শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডস। এ দেশ দুটিকে  বাছাই পর্বে খেলতে হবে না।

গত ৩১ মে এক বিবৃতিতে আগামী বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের জন্য নতুন বাছাই পদ্ধতির বিষয়টি জানায় আইসিসি। সেখানে বলা হয়, আগামী বিশ্বকাপের ১২ দলের আটটি নির্ধারিত হবে এই আসরের সুপার টুয়েলভের দুই গ্রুপ থেকে। এবারের শীর্ষ চার, চার আটটি দল খেলবে সরাসরি আগামী বিশ্বকাপ। সঙ্গে যোগ দেবে আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র।

ওই হিসেবে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ড সরাসরি মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাকি দুই দল আসবে গ্রুপ পর্বের মোড়কে হতে যাওয়া ‘বাছাইপর্ব’ থেকে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন