আনন্দ যে কী ‘ভীষণ’, গভীর রাতে জেনেছেন তসলিমা নাসরিন

আনন্দ যে কী ‘ভীষণ’, গভীর রাতে জেনেছেন তসলিমা নাসরিন

বাংলাদেশের আলোচিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। নির্বাসিত এ লেখিকা বর্তমানে আছেন দিল্লিতে। থাকছেন একাই। একা থাকার আনন্দ সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন নিজের ফেইসবুক পেজে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক পোস্টে তাসলিমা লেখেন, ‘রাত দেড়টায় এক বাড়ি থেকে গজল শুনে বাড়ি ফিরলাম। ভেতর থেকে দরজা খুলে দেওয়ার কেউ নেই। কেউ চিল্লানোর নেই, কোথায় ছিলাম, কেন রাত হলো। আমিই তালা খুলে ঘরে ঢুকি। ভেতরে অপেক্ষা করে সাদা ফুটফুটে বেড়াল। গোছানো বাড়ি, এলোমেলো করার, নষ্ট করার, এখানে ওখানে কাপড় চোপড়, চায়ের কাপ, মদের বোতল ফেলে রাখার কেউ নেই, বিকট শব্দে টেলিভিশনের বিচ্ছিরি অনুষ্ঠান দেখারও কেউ নেই।

https://agamirsomoy.com/%e0%a6%a4%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%b8-%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7/232220

 

একা থাকার আনন্দ যে কী ভীষণ, তা দীর্ঘকাল যে একা না থেকেছে, সে বুঝবে না।’

প্রসঙ্গত, লেখালেখির কারণে নব্বইয়ের দশকে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে দেশত্যাগে বাধ্য হন তিনি। বিংশ শতাব্দীর আশির দশকে একজন উদীয়মান কবি হিসেবে সাহিত্যজগতে প্রবেশ করে তসলিমা নারীবাদী ও ধর্মীয় সমালোচনামূলক রচনার কারণে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন।

তিনি তার রচনা ও ভাষণের মাধ্যমে লিঙ্গসমতা, মুক্তচিন্তা, ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদ ও মানবাধিকারের প্রচার করায় বাংলাদেশের বহু মানুষের রোষানলে পড়েন। হত্যার হুমকি পেতে থাকেন।

https://agamirsomoy.com/%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%a8%e0%a7%87-%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%81-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%b8%e0%a6%b2/115442

 

পরে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করতে বাধ্য হন। তিনি কিছুকাল যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেছেন। বর্তমানে তিনি ভারত সরকার কর্তৃক ভারতে অজ্ঞাতবাসে অবস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

নির্বাসিত এ সাহিত্যিক বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় লেখালেখির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সাময়িকী এবং পত্রপত্রিকায়ও নিয়মিত লেখালেখি করছেন।

১৯৮২ সালে তসলিমা কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র প্রেমে পড়েন এবং গোপনে বিয়ে করেন তসলিমা নাসরিন। ১৯৮৬ সালে তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খানের সাথে তাঁর বিয়ে এবং ১৯৯১ সালে বিচ্ছেদ হয়। তিনি ১৯৯১ সালে সাপ্তাহিক বিচিন্তার সম্পাদক মিনার মাহমুদকে বিয়ে করেন এবং ১৯৯২ সালে তাদের বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। তসলিমার কোনো সন্তান নেই।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন