‘আমাদের আঙুল এখনও ট্রিগারে’

‘আমাদের আঙুল এখনও ট্রিগারে’

দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘাত শেষে ইসরাইল-ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।  শুক্রবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে বইছে শান্তির সুবাতাস।  সড়কে সড়কে চলছে বিজয় মিছিল।

তবে এ উল্লাসের মধ্যে আছে সতর্কতাও।  যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে যুদ্ধবিরতি। দীর্ঘদিন ধরে চলা উত্তেজনা তো যে কোনো মুহূর্তেই নতুন সংঘাত-সংঘর্ষে মোড় নিতে পারে।

একে-৪৭ বন্দুক হাতে থাকা একজন যেমন বললেন, ‘আমাদের আঙুল এখনও ট্রিগারে, আমরা ফের যুদ্ধ করতে প্রস্তুত। তবে এখন আমরা আমাদের জনগণের সঙ্গে আনন্দ উদযাপন করব।’

কেবল গাজা-ই নয়, উল্লাস দেখা গেছে ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে থাকা শহর রামাল্লাতেও।  শুক্রবার রাতে শহরটির সড়কে নেমে আসা কয়েকশ মানুষ স্লোগানে বলেছেন, ‘মনেপ্রাণে আমরা তোমার সঙ্গেই আছি, গাজা।’

’দখলদারদের বিরুদ্ধে এ এক অসাধারণ জয়। আমাদের প্রতিরোধ যোদ্ধারা তাদের যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করেছে। আজ থেকেই ঈদ শুরু হচ্ছে। অনেকে ঘরবাড়ি ও আত্মীয়স্বজন হারিয়েছেন। তা সত্ত্বেও আমরা উৎসব করব,’ বলেছেন বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ উৎসবে শামিল হওয়া ৩০ বছর বয়সি আহমেদ আমের।

আতশবাজির ঝলক দেখা গেছে পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারা এলাকায়ও। এখানে বসবাসরত কয়েকটি ফিলিস্তিনি পরিবারের উচ্ছেদ ঠেকাতে ইসরাইলের আদালতে যে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলছে, তা নিয়ে সৃষ্ট অসন্তোষ থেকে রমজান মাসে জেরুজালেমজুড়ে অস্থিরতা শুরু হয়েছিল।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, এবারের ১১ দিনের সংঘর্ষ ২৩২ ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়ে নিয়েছে; এদের মধ্যে আছে ৬৫টি শিশুও। ইসরাইলি কামানের গোলা ও বিমান হামলায় আহতও হয়েছে দুই হাজারের কাছাকাছি।

গাজার নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৬০ জনই হামাসের যোদ্ধা ছিল বলে দাবি ইসরাইলের। তাদেরও প্রাণহানি হয়েছে।  হামাসের রকেটে ১২ ইসরাইলি নিহত ও কয়েকশ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে তেলআবিব।

ইসরাইলের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়াকে নিজেদের ‘বিজয়’ হিসেবে দেখছে হামাস।

দলটির এক নেতাকে উদ্ধৃত করে বিবিসি জানিয়েছে, এটা ফিলিস্তিনি জনগণের ‘বিজয়’ এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ‘পরাজয়’।

হামাস নেতারা এও বলেছেন, ঘোষণা এলেও যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুটিনাটি চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা সতর্ক অবস্থায় থাকবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন