আমাদের গন্তব্য কোথায় ? কোথায় যাচ্ছি আমরা ?

আমাদের গন্তব্য কোথায় ? কোথায় যাচ্ছি আমরা ?
 মোঃ আমজাদ হোসেন
 যে কোন পরীক্ষার আগে বিশেষ করে পাবলিক পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীরা অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় একটু আগে ভাগেই বই-খাতা-কলম নিয়ে পড়ার টেবিলে বসবে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সময়ে আমরা তাই করেছি। মাত্র কয়েক বছর আগেও এমনটাই ছিল। এখনও যারা সত্যিই কিছু শিখতে চায় অথবা অন্তত যারা আদর্শ ও সত্যনিষ্ঠ মা-বাবার সন্তান, যারা অসদুপায়কে আত্মস্থ করতে পারেনি তারা বই-খাতা-কলম নিয়েই বসে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বর্তমান চিত্র কী ? আমরা কী দেখি ? পড়ার টেবিলের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে ছেলে শিক্ষার্থীদের দেখা যায় সাধারণের দৃষ্টির আড়ালে অথবা অপেক্ষাকৃত কম চলাচল করে এমন রাস্তার পাশে অথবা কোন পরিত্যাক্ত বাড়িতে জটলা পাকাচ্ছে। তাদের প্রায় সকলের হাতে দামি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন। উদ্দেশ্য একটাই কখন কোন সামাজিক মাধ্যমে কোন প্রশ্ন পাওয়া যাবে। আর এক শ্রেণির অসাধু চক্র কখনো ভূয়া কখনোবা সত্যিকারের প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে ফেসবুক সহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আমাদের গন্তব্য কোথায় ? কোথায় যাচ্ছি আমরা ?

কর্তৃপক্ষ যে একেবারে হাত পা গুটিয়ে বসেে আছে তা-ও নয়। তবে তা কতটুকু কার্যকর হচ্ছে বা কার্যকর করার ইচ্ছে আছে তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। কোন প্রশ্নের অবতারণা না করেও একেবারে চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায় প্রশ্ন ফাস বন্ধ হয়নি বা হচ্ছে না। এর ফল কী হচ্ছে ? প্রকৃত মেধাবীরা মেধার মূল্য পাচ্ছে না তারা হতাশায় ভূগছে। পরবর্তীতে তারা প্রায় হাল ছেড়ে দিচ্ছে। পরে হয় তারা অসত্যের জোয়ারে নিজেদের ভাসিয়ে দিচ্ছে অথবা হারিয়ে যাচ্ছে মূল ধারা থেকে। প্রকারান্তরে জাতিকে গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে।
উৎসমূখ বন্ধ না করে কখনো দূর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়। ছিদ্র বন্ধ না করে সারাক্ষণ পানি সেচে বড় জোড় ডুব বিলম্বিত করা যাবে কিন্তু বন্ধ করা যাবে না। যে বালক আজ ফাস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে তথা দর্নীতি করে সার্টিফিকেট অর্জন করছে ভবিষ্যতে বড় হয়ে সে জাতিকে কী উপহার দেবে ? যে শিক্ষা মানুষকে ইতিবাচক কিছু ভাবতে বা করতে শিখায় না তা কি আদৌ কোন শিক্ষা ? হলেও হকে পারে তা কুশিক্ষা । কুশিক্ষা অর্জন করে উঁচুতেসউঠেও কিংবা সর্বোচ্চ আসনে বসলেও জাতিকে সে কোন ভাবেই সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারবে না

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment