ইসলামের শির চির উন্নত করতেই যেন কাতারের আয়োজন!

ইসলামের শির চির উন্নত করতেই যেন কাতারের আয়োজন!
মাহফুজ হাসান,স্টাফ রিপোর্টার:
বাঙ্লাদেশি দর্শকদের উপচেপড়া উন্মাদনা,
ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল কে ঘিরে।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ না পেলেও দর্শকদের মধ্যে আগ্রহের কোনো কমতি নেই। এদেশের অধিকাংশ বাড়ির ছাদে,বড় বৃক্ষের চূড়ার দিকে নজর গেলেই দেখা যায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা,উরুগুয়ে, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দলের পতাকা উড়ছে।
চার বছরের অপেক্ষার প্রহর শেষে মরুর বুকে পর্দা উঠেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের মহাযজ্ঞের। ২০১০ সালে আয়োজকের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কম সমালোচনা শুনতে হয়নি কাতারকে। তবে আয়োজকরা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলো আগের সব বিশ্বকাপ থেকে আলাদা হবে মরুভূমির বুকের এবারের বিশ্বকাপ মহারণ। মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম বিশ্বকাপ স্মরণীয় হয়ে থাকবে বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে বলেই জানিয়েছিলো কাতার।
ইসলামকে সমুন্নত রেখেই এবারের বিশ্বকাপ।
আয়োজকদের অঙ্গীকার করা সেই কথার সত্যতা যেন পাওয়া গেছে আল-বায়াত স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে উদ্বোধনী আয়োজন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে কাতার।ধর্মপ্রাণ মুসলিম বাঙ্গালিদেরও প্রশংসার সমুদ্রে ভাসছেন কাতার।
জানা যায়- স্টেডিয়ামে খোলামেলা পোশাক নিষিদ্ধ করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ।
অন্যান্য আসরের আবশ্যিক অনুষঙ্গ অ্যালকোহলিক বিয়ার নিষিদ্ধ করা হয়েছে কাতারের বিশ্বকাপে। যদিও বিদেশীদের কথা ভেবে কিছু কিছু জায়গায় বিশেষভাবে বিয়ার বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে তবে সেটি খুব সীমিত আকারে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে কাতার প্রবাসী কিশোরগঞ্জের সবুজ আহমেদ, মানিক মিয়াসহ অনেকেই জানান,ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ আয়োজন করছে কাতার। মরুর বুকে সেই বিশ্বকাপেই যেন বিশ্বজুড়ে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করে যাচ্ছে কাতারের কর্তৃপক্ষ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য এটা অত্যন্ত সুখকর।তারা আরও বলেন আগে তারা অন্যদল সাপোর্ট করলেও ইসলামের প্রতি কাতারের এতো কোমলতা দেখে এবার তারা কাতার দলের সাপোর্ট নিয়েছে।
আরও জানা যায়- আরও বেশ কিছু ইসলামি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসই যেন দেখা গেছে কাতারের আয়োজকদের মাঝে।
★বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্টেডিয়ামেই রাখা হয়েছে নামাজের জায়গা এবং অজুর ব্যবস্থা।
★ আজান প্রচারের জন্য স্টেডিয়ামেই রাখা হয়েছে মাইক্রোফোন। মসজিদে সাধারণ মুয়াজ্জিনের পরিবর্তে আনা হয়েছে সুন্দর কন্ঠধারীদের।
★বিশ্বকাপের ভেন্যু, হোটেলসহ পুরো আয়োজনের সব জায়গাতেই হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বাণী প্রচারের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য্য তুলে ধরা হয়েছে।
★ আগত দর্শনার্থীদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার জন্য ২ হাজার সদস্যের একটি দল তৈরি করা হয়েছে। তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ১০টি বিশেষ গাড়ি এবং থাকার জন্য বিশেষ ১০টি অস্থায়ী তাবু।
★কাতারের সবগুলো হোটেলের কক্ষতে একটি করে বারকোড রয়েছে, যা সবাইকে ইসলামের শিক্ষা, হাদিস এবং মুসলিম বিশ্বাস ও সৌন্দর্য্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে।
★আগত দর্শনার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় ইসলামিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বিশ্বকাপ চলাকালীন।
★ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের জন্য প্রতিটি সিটে একটি করে উপহারের ব্যাগ রাখা হয়েছে, যার ভেতরে থাকছে মুসলিমদের পবিত্রতা আর সৌন্দর্য্যের অন্যতম অনুষঙ্গ সুগন্ধি আঁতরসহ ইসলামিক উপহার সামগ্রী।

আপনি আরও পড়তে পারেন