ঈদ উপলক্ষে ভাসানচরের রোহিঙ্গারা পেল ২৩৫ গরু

ঈদ উপলক্ষে ভাসানচরের রোহিঙ্গারা পেল ২৩৫ গরু

নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জন্য এবার ২৩৫টি গরু কোরবানির ব্যবস্থা করেছে সরকার। বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা গরুগুলো এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্লাস্টারে বিতরণ করা হয়েছে। ১০টি পয়েন্টে গরুগুলো কোরবানির পর মাংস পৌঁছে দেওয়া হবে প্রতিটি পরিবারের কাছে।

রোববার (১৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় গরু বিতরণের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান। তিনি বলেন, সুষ্ঠুভাবে কোরবানির পশু জবাই ও সকলের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মংচিংনু মারমা নামে জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। আশা করি, কোনো সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে শরণার্থীবিষয়ক কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ডাটাবেস করেছি। প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পশু কোরবানির পর প্রতিটি ঘরে মাংস পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে এ কমিটির সদস্যরা। সাড়ে চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পরিবারের কোরবানির জন্য ২২০টি গরুর চাহিদা থাকলেও তিনটি এনজিও সংস্থা এরই মধ্যে ২৩৫টি গরু সরবরাহ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৩৮টি ক্লাস্টারে অবস্থান করছে রোহিঙ্গা পরিবারগুলো। তাই কোরবানি শেষে দ্রুত মাংস বণ্টনের জন্য ১০টি পয়েন্ট চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের কাছে কমপক্ষে দুই কেজি করে কোরবানির মাংস সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিচালক রাশেদ সাত্তার বলেন, কোরবানি ঈদের আনন্দে যেন তারাও অংশীদার হতে পারে, সেটা  বিবেচনা করে এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নৌবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ শংকর বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, পশু কোরবানির আগে ভাসানচরের ওয়্যারহাউসে দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পবিত্র ঈদুল ফিতরেও এখানে দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যা ছিল একসময়ের জনমানবহীন চরে প্রথম কোনো ঈদের জামাত।

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের হিউম্যানিটেরিয়ান ক্রাইসিস রেসপন্স প্রোগ্রামের প্রোগ্রামার ম্যানেজার মো. হোসেন শহিদ

দৈনিক আগামীর সময়

কে বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৩৫টি কোরবানির পশু বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে সর্বশেষ তিনটি গরু বিতরণ করা হয়। কোরবানির গরু পেয়ে তারা খুশি হয়ে ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর দ্বীপে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর আরও ১ হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯-৩০ জানুয়ারি ২ হাজার ৪২১ জন ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ৩ হাজার ৬০০ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন