উপনির্বাচনে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোথাও কোনো অসুবিধার সৃষ্টি হয়নি। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই।

শনিবার (১৭ অক্টোবর) এ দুটি আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তিনি এ কথা বলেন।

কে এম হুদা বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সারা দেশে ভোট হয়। এই খণ্ড নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম থাকে। এ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নেই। দুই বছর বা আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন সেই জন্য হয়তো প্রার্থী বা ভোটারদের মধ্য তেমন আগ্রহ নেই। পাশাপাশি করোনার একটি বিষয় তো রয়েছে। এ জন্য মানুষ আতঙ্কিত। মানুষ যেতে যায় না এ রকম একটা অবস্থা তো আছেই। এর মধ্যেও নির্বাচনের ট্রেন্ড ভালো।

তিনি বলেন, করোনার জন্য আমরা সার্বিক সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছি। মাস্ক পরে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশনা আছে। এ জন্য অতিরিক্ত মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে। হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থা রয়েছে। স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইভিএমের ফিঙ্গারপ্রিন্টের জায়গাটি বারবার জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৫টায়। দুটি আসনেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে ঢাকা-৫ আসনে ছয়জন এবং নওগাঁ-৬ আসনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. কাজী মনিরুল ইসলাম, বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ, গণফ্রন্টের এইচ এম ইব্রাহিম ভূঁইয়া, জাতীয় পার্টির মীর আব্দুস সবুর, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আনছার রহমান শিকদার ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান।

নওগাঁ-৬ উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ার হোসেন (হেলাল), বিএনপির শেখ মো. রেজাউল ইসলাম এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. খন্দকার ইন্তেখাব আলম।

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন