উল্কাবৃষ্টির মুখোমুখি বিশ্ববাসী

উল্কাবৃষ্টির মুখোমুখি বিশ্ববাসী

২০২০ সালকে বলা হচ্ছে জ্যোতির্বিদদের গোল্ডেন ইয়ার। মহাকাশের নানা ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকবে এই বছরটি। বছরের শেষ মাসে এসেও আবারো আকাশে দেখা মিলবে চমক জাগানো বর্ণচ্ছটা।

১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর আকাশে দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি হবে ‘সব উল্কাবৃষ্টির রাজা’।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্যাট্রিশিয়া স্কেলটন জানিয়েছেন, ধূমকেতুর রেখে যাওয়া ধুলিকণায় ভরা আস্তরণের মধ্যে দিয়ে যখন পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে, তখনই সাধারণত উল্কা বৃষ্টি ঘটে থাকে। কিন্তু জেমিনিডস উল্কার বৃষ্টিপাত ভিন্ন ধরনের। জেমিনিডস উল্কার বৃষ্টি হয় যখন ৩২০০-ফিটন নামে একটি গ্রহাণুর ছেড়ে যাওয়া ধূলিকণার আস্তরের মধ্যে দিয়ে পৃথিবী যায়।

জেমিনিডসের উল্কাবৃষ্টি প্রতি ঘণ্টায় দেড়শ’র মতো উল্কার ধারা বৃষ্টি হবে বলে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় আমরা ১৫০ আলোর ফোঁটার বিচ্ছুরণ দেখতে পাবো।

নিজের ঘরে বসেই আকাশের এ অভিনব দৃশ্য আপনি উপভোগ করতে পারবেন, তার জন্য টেলিস্কোপ বা কোনো যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হবে না। আকাশ যত অন্ধকার হবে, এ অসাধারণ সুন্দর আলোর রোশনাই তত বেশি উপভোগ করার সুযোগ হবে।

নাসার তথ্যমতে, ডিসেম্বর জুড়েই উল্কাবৃষ্টি হলেও রবি ও সোমবার এটি সবচেয়ে উজ্জ্বল রূপ ধারণ করবে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের পার্কগুলোতে তাই দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাগরের পাড়, পাহাড় চূড়া থেকে শুরু করে উন্মুক্ত উদ্যান থেকে খালি চোখেও দেখা যাবে এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

তবে শহরাঞ্চলগুলোয় রাতের আকাশ কৃত্রিম আলোতে আলোকিত থাকলে এটি কিছুটা কম দৃশ্যমান হতে পারে। মোবাইল ফোনের স্যাটেলাইট অ্যাপগুলো দেখেও এর অবস্থান নির্ণয় করা যাবে। তাই মোবাইল, ক্যামেরা আর টেলিস্কোপ নিয়ে দর্শনার্থীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে নাসা।

আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাংলাদেশ থেকেও এই উল্কাবৃষ্টি দেখতে পাওয়া যাবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন