এন্ড্রয়েড মোবাইল সার্ভিসিং টিপস এবং বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান

এন্ড্রয়েড মোবাইল সার্ভিসিং টিপস এবং বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান

আজ আমরা জানবো মোবাইলের সাধারণ কিছু সমস্যা এবং তার সমাধান। এন্ড্রয়েড মোবাইল সার্ভিসিং টিপস । আমরা যারা মোবাইল ব্যবহার করি অথবা যারা মোবাইল সার্ভিসিং ও রিপেয়ারিং করে থাকি তারা প্রতিনিয়ত মোবাইলের যে সকল কমন সমস্যা গুলো দেখে থাকি বা ফেইস করে থাকি তার একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল সার্ভিসিং টিপস এর সহজ তালিকা সংক্ষেপে সমাধান সহকারে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। যেগুলো আপনাদের প্রতি দিনের প্রশ্ন উওর পর্ব হিসাবে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এখান থেকে আপনারা অনেক কিছু আপনার শিখতে পারবেন। এবং আপনাদের সকল প্রশ্ন উওর পেয়ে যাবেন। তাহলে চলুন আপনাদের করা সকল প্রশ্ন উওর গুলো সমাধান সহকারে জেনেনি।

এন্ড্রয়েড মোবাইল সার্ভিসিং টিপস এন্ড ট্রিকস :

মোবাইলে কথা পরিস্কার শোনা যায় না কেন ? :

আমি মোবাইলে পরিস্কার কথা শুনতে পায়, কিন্তু অপর প্রান্তের ব্যাক্তি আমার কথার সাথে সাথে মোবাইলে স্ব স্ব আওয়াজ শুনতে পায়। কথা পরিস্কার শুনতে পাইনা এমন হয় কেন হয় ? এমন সমস্যা হওয়ার কারণ মোবাইলের মাইক্রোফোন বা মাউথ স্পিস খারাপ হয়ে যাওয়া। এমন সমস্যা হলে সবার আগে মোবাইলের মাক্রোফোন পরিবর্তন করতে হবে। তাহলে স্ব স্ব আওয়াজ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মোবাইল সাদা হয়ে বন্ধ হয়ে যায় কেন ? :

মাঝে মাঝে মোবাইল চলতে চলতে সাদা হয়ে বন্ধ হয়ে আবার চালু হয়। এমন টা হওয়ার কারণ কি? আপনি যদি মোবাইলের এমন সমস্যা ফেইস করেন তাহলে বুঝতে হবে এটা ব্যাটরী জনিত সমস্যার কারণে হচ্ছে। কারণ মোবাইলে ব্যাটারির অ্যাম্পিয়ার কমে গেল বা ব্যাটারী বেশি পুরনো লো-ভোল্ট হয়ে গেলে এমন সমস্যা হয়। তাই প্রথমে ব্যাটারী পরিবর্তন করে দেখুন। যদি ঠিক না হয় তাহলে সফটওয়ার দিয়ে দেখুন আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে। এরপরেও যদি ঠিক না হয় তাহলে বুঝতে হবে মোবাইলের মাদারবোর্ড জনিত সমস্যা রয়েছে। তখন নিয়ম অনুযায়ী পরিক্ষা করতে সমস্যা খুঁজে বের করতে হবে।

মোবাইলের মাইকে গুন গুন শব্দ হয় কেন ? :

ফোনে কথা বলেল মাইকে গুন গুন শব্দ হয়। এমন সমস্যা হয়ে থাকে মাক্রোফোন জনিত সমস্যার কারণে সুতরাং এমন সমস্যা হলেও প্রথমে মাইক্রোফোন পরিবর্তন করতে হবে। আশা করছি তাহলে আর গুন গুন ভ্ব ভ্ব  শব্দ হবে না। অনেক সময় নেটওয়ার্ক জনিত কারণেও এমন সমস্যা হয়ে থাকে। সুতরাং আগে নেওয়ার্ক জনিত করণে সমস্যা কি-না চেক করে নিতে হবে।

মোবাইলের ডিসপ্লে এবং কিপ্যাড লাইট জ্বলে না কেন ? :

আপনার মোবাইলের ডিসপ্লে লাইট বন্ধ অর্থাৎ ডিসপ্লের এলইডি লাইট খারাপ থাকতে পারে, লাইট আইসি খারাপ থাকতে পারে, ডিসপ্লে কানেকশন এর এলইডি রিবনওয়্যার  ‍ছুটে যেতে পারে, অথবা ডিসপ্লে সোল্ডারিং লুজ হতে পারে। এমবস্তার রিসোল্ডারিং করতে হবে। আর মাল্টিমিটার দিয়ে ডিসপ্লের নিচের এলইডি গুলে পরিক্ষা করতে হবে।

নট চার্জিং প্রবলেম সমস্যা হলে কি করতে হবে ? :

মোবাইলে নট চার্জিং হলে প্রথমে চার্জার আউটপুট ভোল্টজ পরিক্ষা করুন ঠিক আছে কি-না। তারপর চার্জিং পিন লুজ আছে কি-না দেখুন, তারপর মোবাইলের চার্জিং পোর্ট পরিক্ষা করুন। সমাধান নাহলে মোবাইলের মাদাবোর্ড এর চার্জিং সেকশন এর পার্টস্ যেমন- ডায়োড, ট্রানজিস্টর ও চার্জিং আইসি সমস্যা হতে পারে। ডায়োড গুলো ভেঙ্গে দিতে পারেন বা পরিক্ষা করার চেষ্টা করুন। সাধারণত ডিসি পাওয়ার সাপ্লাইয়ে ডায়োড ব্যবহার না করলে সমস্যা হবেনা, কিন্তু কানেকশন ফেইল হলে সমস্যা হবে।

চলতে চলতে মোবাইল অফ হয়ে যাওয়ার কারণ কি? :

প্রথমত এটা পাওয়ার জনিত সমস্যা, ব্যাটারী ও কানেক্টর জনিত কারণেও এমন সমস্যা হতে পারে। আপনার মোবাইলের সব কানেকশন ঠিক থাকার পরেও যদি এমন চলতে চলতে মোবাইল অফ হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে সফটওয়্যার জনিত সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে এমত্ববস্তায় মোবাইলের সফটওয়ার দিয়ে দেখতে হবে। তারপরও যদি না হয় তাহলে মোবাইলের মাদারবোর্ড সমস্যা হতে পারে। আপনি যদি ঠিক-ঠাক ভাবে সব পরিক্ষা করতে পারেন আশা করছি সমস্যা খুজেঁ পাবেন।

এন্ড্রয়েড, টাচ্, কিপ্যাড মোবাইল গরম হয় কেন ? :

সাধারণত মোবাইল বিভিন্ন কারণে গরম হতে পারে। কমন সেন্স থেকে বলা যায়- যখন মোবাইলের উপর বেশি লোড পড়বে তখন স্বাভাবিক ভাবে মোবাইল গরম হতেই পারে। যেমন- নেট চালনো অবস্থায়, গেম খেলা অবস্থায়, ভিডিও দেখা অবস্থায় মোবাইল গরম হবে এতে কোন সমস্যা নেই। তবে মোবাইলে কোন লোড নেই তারপরেও গরম হচ্ছে, তাড়া তাড়ি চার্জ কমে যাচ্ছে, এমন হলে সমস্যা হিসাবে ধরতে হবে। এমন সমস্যা হতে পারে দুইটা কারণে যথা- সফ্টওয়্যার জনিত সমস্যা থাকলে, আর মোবাইলের মাদারবোর্ড এ কিছু শর্ট হলে। যেগুলো আপনাকে খুঁজে সাধারণ নিয়মে সমাধান করতে হবে।

মোবাইলের চার্জ অটোমেটিক ফুল হয়ে যায় আবার লো হয়ে যায় কেন ? :

যদি আপনার ফোনের, মোবাইলের চার্জ অটোমেটিক ফুল হয়ে যায়. আবার লো হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে এটার প্রধান কারণ ব্যাটারীতে সমস্যা আছে। ব্যাটারী পরিবর্তন করতে হবে। তার আগে ডিজিটাল পাওয়া সাপ্লাই দিয়ে মোবাইল পরিক্ষা করতে হবে। এরপরেও যদি এই সমস্যা ঠিক না হয় তাহলে নতুন করে মোবাইলের সিস্টেম সফটওয়্যার দিতে হবে। আশা করছি এর মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।

মোবাইল সেট ডেড/মোবাইল একে বারে বন্ধ হলে করণীয়:

আপনার মোবাইল ফোন একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে, মোবাইলের পাওয়ার থেকে পরীক্ষা করা শুরু করতে হবে, তাহলে বোঝা যাবে কোথায় সমস্যা হয়েছে। যেমন- প্রথমে চার্জার, তারপর ব্যাটারী, কানেক্টর। নিয়ম অনুযায়ী ডিসি ডিজিটাল পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে রিডিং দেখে মোবাইল অন করার চেষ্টা করতে হবে। ডিসি ডিজিটাল পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে মোবাইলের পাওয়ার জনিত সমস্যা খুঁজে রের করতে হবে।

নেটওয়ার্ক থাকে না/নেটওয়ার্ক এসে পড়ে যায় বা চলে যায়:

যেকোন ধরণের মোবাইলের নেটওয়ার্ক না থাকলে প্রথমে ম্যানুয়ালী নেটওয়ার্ক সেটিং এ গিয়ে অটোমেটিক বাদ দিয়ে ম্যানুয়ালী সার্চ করতে হবে। তারপর যে সিম ব্যবহার করছেন তার নেটওয়ার্ক সিলেক্ট করে একটিভ করতে হবে। এরপর যদি তাতেও না হয়, Network Not Found সিগনেল দেয়, তাহলে এন্টেনা সুইচ বদলাতে হবে। তারপর না হলে RX TX তারপর নেটওয়ার্ক আইসি বদলাতে হবে। অনেক সময় পাওয়ার সমস্যার কারণে মোবাইল অন করলে লোকাল মোড টেস্ট মোড আসে। এজন্য পাওয়ার সেকশন থেকে নির্দিষ্ট কোন পার্ট খুলে ফেললে সমাধান পাওয়া যায়।

মোবাইলের কিপ্যাড কাজ করে না/কিছু বাটন কাজ করে না:

আপনার মোবাইলের সব কিপ্যাড যদি কাজ না করে, তাহলে এটা লজিক কিপ্যাড সমস্যা হতে পারে। অথবা কিপ্যাড রিবোন সংযোগ সকেট খারাপ হতে পারে, যেগুলো পরিক্ষা করতে হবে। আর যদি কিছু বাটন কাজ না করে, তাহলে সে বাটন গুলোর নিচের স্টিলের তলায় ময়লা/আয়রন জ্বমে থাকতে পারে তা পরিস্কার করতে হবে। অথবা বাটন টাচ্ সংযোগ সমস্যা হতে পারে মাল্টিমিটারের মাধ্যমে পরিক্ষা করে দেখতে হবে।

সিম কাজ করে না/ইনসার্ট সিম কার্ড লেখা আসে :

যেকোন মোবাইলের যদি ইনসার্ট সিম কার্ড লেখা আসে তাহলে সেটা তিনটা কারণে হতে পারে। ১ম কারণ হলো সিমবেসইজ এর সমস্যা থাকতে পারে। ২য় কারণ হলো সিম আইসি সমস্যা থাকতে পারে। ৩য় কারণ সিমের সমস্যা থাকতে পারে। এজন্য আগে সিম তারপর সিমবেসইজ তারপর সিম আইসি পরিক্ষা করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সিমকার্ড অন্য মোবাইলে লাগিয়ে দেখতে হবে। দরকার হলে সিমের নিচের স্টিল অংশ হালকা করে সিরিজ কাগজ দিয়ে ঘষে নিতে হবে, তারপর লাগিয়ে দেখতে হবে।

নট চার্জিং ইরর/মোবাইল চার্জে দিলে কিছুই হয় না:

মোবাইল নট চার্জিং সমস্যা হয়ে থাকে সাধারণত তিনটা কারণে- ১ম কারণ হতে পারে চার্জারের সমস্যা রয়েছে, ২য় কারণ হতে পারে চার্জিং কানেক্টর সমস্যা, ৩য় কারণ মোবাইলের কানেক্টর এর পাশের ডায়োড এর সমস্যা থাকতে পারে, উপরের নিয়ম অনুযায়ী পরিক্ষা করে নট চার্জিং ইরর মোবাইল চার্জে দিলে কিছুই হয় না সমস্যার সমাধান করতে হবে।

মোবাইলের ডিসপ্লে আসে লাইট আসে না :

আপনার মোবাইলের যদি ডিসপ্লে আসে কিন্তু লাইট না জ্বলে তাহলে বুঝতে হবে। এটা এলইডি লাইট জনিত সমস্যা। ভালো ভাবে দেখলে দেখবেন ডিসপ্লের সাথে কিছু ছোট ছোট এলইডি লাইট আছে অনেক সময় যেগুলো কোন কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ফলে মোবাইল চলে ডিসপ্লে চলে কিন্তু লাইট জ্বলে না বলে ডিসপ্লেতে কিছু দেখা যায় না। এমন সমস্যা হলে প্রথমে মোবাইলের ডিসপ্লে এলইডি গুলো মাল্টিমিটারের মাধ্যমে পরিক্ষা করতে হবে। তারপর সেগুলো ভালো একটা আয়রন এর মাধ্যমে পরিবর্তন করতে হবে।

মোবাইলের রিংটোন বাজে না কেন ? :

সব মোবাইলের রিংটেন এর জন্য প্রোফাইলে রিংটোন সেটিং থাকে অনেক সময় আমাদের অজান্তে আমরা মোবাইলের রিংটোন অফ করে ফেলি। তাই মোবাইলের রিংটোন না বাঁজলে প্রথমে প্রোফাইল সেটিং চেক করুন ঠিক আছে কি-না। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে বুঝবেন রিংগার বা আপনার মোবাইলের লাউড স্পিকার অর্থাৎ বড় স্পিকার কেটে গিয়েছে সেটা পরিবর্তন করতে হবে।

মোবাইলের টাচ্ কাজ করে না কেন ? :

বেশির ভাগ মোবাইলের টাচ্ কাজ না করার কয়েকটা কারণ থাকে তার মধ্যে প্রধান কারণ টাচ্ আই খারাপ হওয়া বা টাচের রিবন কানেকশন খারাপ বা ছুটে যাওয়া ফলে কাজ করে না। বর্তমানে কয়েক ধরণের টাচের রিবনের সাথে আইসি লাগানো থাকে। যেগুলো খারপা হয়ে যায়। দরকার হলে নতুন টাচ লাগিয়ে দেখতে হবে টাচ্ ঠিক আছে কি-না।

মোবাইলের স্পিকার মাইক বাজে না :

সব সময় মনে রাখবেন বর্তমানের সব মোবাইল ডিভাইসে দুইটা করে স্পিকার থাকে একট কানে শোনার জন্য ইয়ার স্পিকার, যেটা আমাদের মোবাইলে কথা শোনার জন্য ব্যবহার করা হয়। যেটা মোবাইলের সামনে উপরে সাথে। আরেকটা হলো মাল্টিমিডিয়া স্পিকার, যেটা গান মিউজিক, রিংটোন শোনার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেটা মোবাইলর পেছনে থাকে। যদি স্পিকার কেটে যায় তাহলে কোন মিউজিক রিংটোন বাঁজবে না, তখন সেটা পরিবর্তন করে হবে।

কল দিলে মোবাইল অফ হয়ে যায় :

মোবাইলে কল আসা মাত্র যদি অফ হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে এটা ব্যাটারী জনিত সমস্যা। যখন কেউ মোবাইলে কল দেয় তখন মোবাইলে একসাথে সব যন্ত্র কাজ করে ফলে মোবাইলে প্রচুর চার্জ টানে। যদি কোন কারণে সে সময় মোবাইলের ব্যাটারী সঠিক অ্যাম্পিয়ার লোড দিতে না পারে তখন মোবাইলে কল আসা মাত্র অফ হয়ে যায়। এমতবস্থায় দেখতে হবে ব্যাটারী লুজ আছে কি-না। তারপর ব্যাটারী পরিবর্তন করে আগে দেখে নিতে হবে কাজ করছে কি-না। তারপরেও যদি না হয় তাহলে সফ্ওয়্যার দিতে হবে।

কল দিলে কেটে যায় বা কল ঢুকেনা :

মোবাইলে কল দিলে কল কেটে যায়, আবার কারো মোবাইলে কল দিলে কল ডুকেনা, এমন সমস্যা সাধারণ নেটওয়ার্ক জনিত কারণে হয়ে থাকে। সুতরাং এমন সমস্যা হলে মোবাইলের অপারেটর পরিবর্তন করে দেখতে হবে। আবার অনেক সময় কল সেটিং থেকে কল ডাইভার্ট, কল ফরওর্য়াড, কল রিচ ইত্যাদি বিভিন্ন সেটিং না জানার কারণে হয়ে যায় তখন এমন সমস্যা হতে পারে। যদি এমন কিছু হয় তাহলে আগে কল সেটিং এর একটিভ কৃত সকল সার্ভিস ক্যানসেল করতে হবে।

কনট্যাক্ট সার্ভিস হলে/ শুধু আলো জ্বলে থাকলে:

অনেক সময় মোবাইলে নেটওয়ার্ক জনিত কারণে এমন সমস্যা হতে দেখা যায় তাবে বর্তমানের মোবাইল ডিভাইসে এমন সমস্যা দেখা যায় না। আগের নোকিয়া বা কিছু ব্রান্ডের মোবাইলে এমন সমস্যা বেশি দেখা যেতো। মোবাইলে নেটওয়ার্ক জনিত কারণে কনট্যাক্ট সার্ভিস হলে শুধু আলো জ্বলে থাকে। এটা ঠিক করার জন্য উপরের নিয়মে মোবাইলের নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধান করতে হবে।

সিম লক, ফোন লক, ইউজার লক, পিন পাক লক হলে :

মোবাইল ডিভাইসকে বর্তমানে সিকিউর করার জন্য বিভিন্ন ধরণের লকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু অনেক সময় এই লকের শিকার আমরাই হয়ে যায়। মাঝে মাঝে দেখা যায় ব্যবহারকারী নিজের লক নিজেই খুলতে পারে না। মোবাইলের এসব লক খোলার জন্য কয়েক ধরণের অনলকার টুলস্ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে হলে অপনাকে সেটা কিনতে হবে। যেসকল লক মোবাইলে সাধারণত সবাই দেখে থাকে তার মধ্যে প্রধান কিছু লক হলো: সিম লক-যাকে বলে পিন/পাক, এটা শুধু সিমের জন্য। যা কয়েক বার ভূল দিলে সিম বাতিল হয়ে যায়। আর ফোন লক, ইউজার লক, এসপি লক, ফিংগার লক, টাচ্ লক, সেন্সর লক, ইউজার ডিটেকটেড লক ইত্যাদি মোবাইলের লক। যেগুলো অনলকার দিয়ে খুলতে হয়। মোবাইলের বিভিন্ন লক সম্পর্কে আরো পরবর্তীতে বিস্তারিত একটা পোস্ট দেওয়া হবে সুতরাং পরবর্তীতে সেটা দেখে নিতে পারেন।

এন্ড্রয়েড মোবাইল হ্যাং হয় কেন ? :

মোবাইল বিভিন্ন কারণে হ্যাং হয়ে থাকে সেটা হতে পারে মোবাইলের কনফিগারেশনের চেয়ে মোবাইলে বেশি লোড পড়লে, সিস্টেমে ভাইরাস ডুকলে, ভারি মোবাইল এপস্ ব্যবহার করলে, র‌্যাম রম ফুল হয়ে গেলে, একসাথে মোবাইলে অনেক কাজ করলে বা অনেক এপস্ চালু করলে মোবাইল হ্যাংক হতে পারে। মোবাইল হ্যাং সম্পর্কে এন্ড্রয়েড মোবাইল সার্ভিসিং টিপস এর পরবর্তীতে একটা বিস্তারিত পোস্ট পাবলিস করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন