কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন বিলাসবহুল জাহাজে ভাড়া ২০০০!

কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন রুটে বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহ তুঙ্গে। এই জাহাজটি (এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস) ৩০ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হলেও নিয়মিত চলাচল করবে তার পরদিন থেকে। এমনটা নিশ্চিত করেছেন ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমে ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।

এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে রয়েছে চার ক্যাটাগরির মোট ৫১০ টি আসন। এর মধ্যে ইকোনমি আসনের ভাড়া জনপ্রতি দুই হাজার টাকা। এছাড়া বিজনেস শ্রেণীর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ৫শ’ টাকা। ১৭ টি ভিআইপি কেবিন রয়েছে কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে। এরমধ্যে ইকোনমি শ্রেণীর কেবিনের ভাড়া ১২ হাজার ও লাক্সারি কেবিনের ভাড়া ১৫ হাজার টাকা।

ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমের মার্কেটিং কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান বলেন, আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে কক্সবাজার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে সকাল ৭ টায় কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ছাড়া হবে। আর সেন্টমার্টিন থেকে সেটি বিকেল ৩ টায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ফিরবে। গন্তব্যে পৌঁছাতে জাহাজটির প্রায় চার ঘণ্টা সময় লাগবে।

এর আগে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার নৌযানটির সী ট্রায়াল সম্পন্ন হয়। কর্ণফুলী নদী থেকে পতেঙ্গার সমুদ্র মোহনা পর্যন্ত সফলভাবে চলাচল করে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস। জাহাজটি ঘণ্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। নৌযানটির দৈর্ঘ্য ৫৫ মিটার ও প্রস্থ ১১ মিটার। আমেরিকার বিখ্যাত কামিন্স ব্র্যান্ডের দুটি প্রাপালেশন ইঞ্জিন রয়েছে এতে, প্রতিটির ক্ষমতা প্রায় ৬০০ বিএইচপি। কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে রয়েছে কনফারেন্স রুম, ডাইনিং স্পেস ও সী ভিউ ব্যালকনি।

কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনের জাহাজ সার্ভিসটি পরিচালনা করবে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স। পরিচালনায় সার্বিক সহযোগীতায় থাকছে ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজম।

নৌযানটি আগে চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে হাতিয়ার নলচিরা হয়ে সন্দ্বীপে চলাচল করতো। যা লিজেন্ডারি নৌ-যান এমভি আলাউদ্দিন আহমেদ নামে পরিচিত ছিল। পরে ডিজাইন ফার্ম এসএসটি মেরিন সল্যুশনের মাধ্যমে নকশা পরিবর্তন করা হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন