কলেজে এমএলএসএস পদে নিয়োগে ২০ লাখ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ

কলেজে এমএলএসএস পদে নিয়োগে ২০ লাখ টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ

খুলনা প্রতিনিধিঃ

খুলনার পাইকগাছার শহীদ আইয়ুব ও মুছা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে এমএলএসএস পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীদের বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ডিজি প্রতিনিধি বিএল কলেজের অধ্যক্ষ ও উক্ত কলেজের হেডক্লার্ক বিশলাখ টাকার বিনিময়ে সাদা খাতা জমাদানকারীদের নিয়োগ দিচ্ছেন।

আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর)দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী তুহিন কুমার মন্ডল। তিনি পাইকগাছার উত্তর কুমখারী গ্রামের ভোলানাথ মন্ডলের পুত্র। দুর্নীতিবাজদের চক্রান্ত রুখে নিয়োগ পরীক্ষায় ১ম তুহিন কুমার মন্ডল ও ২য় রায়হান সানাকে নিয়োগ দানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গতকাল রবিবার (২০ ডিসেম্বর) পাইকগাছার শহীদ আইয়ুব ও মুছা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে শুণ্য দু’টি পদে এমএলএসএস নিয়োগ পরীক্ষা খুলনার আহসান উল্লাহ্ ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত হয়। তুহিন কুমার মন্ডল যথাসময়ে লিখিত পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। দ্বিতীয় রায়হান সানা ও তৃতীয় স্থান কাদের সরদার।

লিখিত পরীক্ষার ফলাফল মৌখিকভাবে ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের ডিজি প্রতিনিধি খুলনার বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আলমগীর কবির। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষার সাক্ষাৎকার গ্রহণের পর তুহিন কুমার মন্ডল প্রথম, দ্বিতীয় রায়হান সানা ও তৃতীয় কাদের সরদার এভাবেই মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা দেন ডিজি প্রতিনিধি।

একই সাথে পাইকগাছার শহীদ আইয়ুব ও মুছা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের প্রধান অফিস সহকারী মোস্তাক গাজী আমাদেরকে মৌখিকভাবে বলেন, আগামী ২২ ডিসেম্বর উক্ত কলেজে গিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগপত্র দেয়া হবে।

১ম স্থান অধিকারী আমাকে ও ২য় স্থান অধিকারী রায়হান সানাকে কলেজে গিয়ে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে বলেন। প্রসঙ্গত্ব, পরীক্ষায় ১৮জন অংশ নেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৫জন। তুহিন কুমার মন্ডল, রায়হান সানা ও কাদের সরদার মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।


লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, গতকাল (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আহসান উল্লাহ্ ডিগ্রি কলেজের সামনে তুহিন কুমার মন্ডল ও রায়হান সানাকে ডেকে পাইকগাছার শহীদ আইয়ুব ও মুছা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের প্রধান সহকারী মোস্তাক গাজী বলেন, ‘তোমাদের দু’জনকে ৮ লাখ করে টাকা দিতে হবে।

তাহলে ২২ ডিসেম্বর নিয়োগপত্র পাবা। অন্যত্থায় চাকরি হবে না।’ তখন তুহিন কুমার মন্ডল তাকে বলেন- টাকা দেবার সাধ্য তার নেই। আমি হতদরিদ্র মানুষ। এসময়ে উপস্থিত বিএল কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর কবির ও পাইকগাছার শহীদ আইয়ুব ও মুছা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের প্রধান অফিস সহকারী মোস্তাক গাজী বলেন, তাহলে তোমরা বাদ।

সুদর্শন মন্ডল ও উমেশচন্দ্র  মন্ডল এরা দু’জন দশ লাখ করে দুইজনে বিশ লাখ টাকা দিচ্ছে, ওদেরকে আমরা নিয়োগ দিয়ে দেবো। ২২ ডিসেম্বর আর তোমাদের কলেজে যাবার দরকার নেই।

আপনি আরও পড়তে পারেন