কাঙ্খিত পদ্মাসেতুর শেষ স্প্যান বসছে বৃহস্পতিবার

কাঙ্খিত পদ্মাসেতুর শেষ স্প্যান বসছে বৃহস্পতিবার

একে একে বসেছে ৪০ বসেছে স্প্যান। আর বাকি একটি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১০ ডিসেম্বর বসছে পদ্মাসেতুর শেষ স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে ৬.১৫ কিলোমিটার সেতুর ভৌত অবকাঠামো পুরোপুরি দৃশ্যমান হবে। যুক্ত হবে পদ্মার এপার ওপার। এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নদীতে কুয়াশা বেশি থাকলে দু’এক দিন পেছাতে পারে স্পান বসানোর কাজ। 

তবে, বিজয় দিবসের আগেই ভৌত অবকাঠামো শেষ করার পরিকল্পনা প্রকল্প কর্তৃপক্ষের। ৪২টি খুঁটির উপর ৪১টি স্প্যান, যার মধ্যে জাজিরা প্রান্তে বসেছে ২০টি এবং মাওয়া প্রান্তে ২০টি। আর ঠিক মাওয়া ও জাজিরার মাঝখানে বসেছে একটি স্প্যান। সর্বশেষ এই একটি স্প্যান বসিয়ে বিজয়ের মাসে সূচিত হবে পদ্মা জয়ের গল্প। পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ব্যস্ততার অন্ত নেই। দম ফেলার ফুরসত নেই কর্মীদের। স্প্যান বসেছে আগেও। তবে শেষ দেড়শ’ মিটার যুক্ত করা যেন এক দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান।

এ বিষয়ে সেতু বিভাগ সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপে এই সোনালী ফসল। আজকের পদ্মাসেতুর ৬ কিলোমিটার দৃশ্যমান। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোন দিন সর্বশেষ অর্থাৎ ৪১তম স্প্যান বসানো হবে।

পুরো দেশের দৃষ্টি যেখানে, পদ্মার মাওয়া প্রান্তে ১২ ও ১৩ পেয়ারের মাঝখানের অংশটুকুতেই বসবে সর্বশেষ স্প্যানটি। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন তাদের প্রস্তুতি আছে ১০ তারিখে এই স্প্যানটি বসানোর। কিন্তু কোন কারণে প্রকৃতির বিরূপ অবস্থা বিরাজ করে তাহলে ১২ তারিখের মধ্যে এটি বসানো হবে এবং কোন ভাবেই এটি ১২ তারিখের পরে নেওয়া হবে না।

সেতু সচিব আরও বলেন, আমাদের পদ্মাসেতুর কাজ কিন্তু থেমে থাকেনি, এটির কাজ কোভিড সময়েও চলছিল। আমাদের প্রত্যাশা, সেতুর মূল অবকাঠামো কিন্তু সংযুক্ত হয়ে যাবে দুই পাশের, ৬.১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।

নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে বসে প্রথম স্প্যান। চ্যালেঞ্জ থাকলেও ধীরে ধীরে অবয়ব পেতে থাকে পদ্মা সেতু।  করোনার বিরূপ প্রভাবে কাজ চলে ধীর গতিতে। গেল দুই মাসে বসে আটটি স্প্যান। শেষ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এই স্টিল মেগা স্ট্যাকচারের কাজ।

আপনি আরও পড়তে পারেন