কারাগার থেকে হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

https://youtu.be/vW2hR4KtUK8

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হচ্ছে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। সোমবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিএসএমএমইউর পথে রওনা হয়। সেখানে খালেদা জিয়ার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে প্রয়োজনে তাকে সেখানে ভর্তিও করা হতে পারে। কারাগার ও হাসপাতালসূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়ার পথে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সড়কে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাসপাতালের সামনেও বাড়তি নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে।

বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে সম্মতির কথা আজ সকালে কারাকর্তৃপক্ষকে জানান খালেদা জিয়া। সকালে কারাকর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, আজ যেকোনো সময় তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়া হতে পারে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম সকালে জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিতে রাজি হয়েছেন। আমাদের সব কিছুই প্রস্তুত আছে। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি রওনা হবেন।

জেলার মাহবুবুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা তাকে আজ বিএসএমএমইউয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উনাকে কারা অধিদফতরের এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। বিএসএমএমইউ নেয়ার পর চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ভর্তির বিষয়টি ঠিক করা হবে।

কারাসূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার ব্যবহার্য জিনিসপত্র ইতিমধ্যে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, খালেদার জন্য ৬২১-৬২২ নম্বর কেবিন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এর আগে গত মাসের শুরুর দিকেও খালেদা জিয়াকে একবার বিএসএমএমইউতে নেয়ার কথা ছিল। তখন হাসপাতালের কেবিনও ঠিক করা হয়েছিল। হাসপাতাল ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়া রাজি না হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। কারাবন্দি খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তারা খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে আগ্রহী নয়। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তবে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল তাকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা দেয়ার বিষয়ে বারবার বলে আসছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment