সাগর আহামেদ মিলন গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
দীর্ঘদিন যাবৎ গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাই ইউনিয়নের কুতুবদিয়া এলাকায় একটি অবৈধ কয়লার কারখানা ছিল।
এ কারখানা কালিয়াকৈর উপজেলার সরকারি বনবিভাগের বিভিন্ন বিটের বনের গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা যা বন ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ ছিলো। স্থানীয় সাংবাদিক এবং পরিবেশ প্রেমিকরা ছিল বরাবরই সোচ্চার। অদৃশ্যগত কারণে বিগত সময়ের কালিয়াকৈর উপজেলার প্রশাসকবৃন্দ দেখেও না দেখার ভান করে থাকত। অবশেষ বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কোন ধরণের অনিয়ম ছাড় না দিয়ে দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে কয়লা তৈরির কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালত চালিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানায়, কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করার বিধান বন আইনে নেই। এটা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আদালত পরিচালনার সময় ৩৬টি চুলা ধ্বংস করা গেলেও অতিরিক্ত তাপের কারনণ বাকী চুলাগুলি ধবংস করা সম্ভব হয়নি। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সময় জব্দকৃত লাকড়ি,ইটা ও কয়লা ১লক্ষ ৩২হাজার টাকা নিলামে বিক্রিয় টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় করেন কালিয়াকৈর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি শাহ্ মোঃ শামসুজ্জোহা, গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ আলমাহমুদ,পরিদর্শক দিলরুবা আক্তার, কালিয়াকৈর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ আবুল কাশেম প্রমুখ।