কুমিল্লাকে হারিয়ে শীর্ষে রংপুর

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৪১তম ম্যাচে দিনের প্রথম খেলায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স মুখোমুখি হয়। কুমিল্লার দেওয়া মাত্র ৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০.৪ বল খেলে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের কাছে চলে যায় মাশরাফির দল রংপুর। ফলে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় রংপুর। জয়টা প্রত্যাশিতই ছিল রংপুরের। হেসেখেলেই জয় তুলে নিলো মাশরাফি বাহিনী। দাপুটে এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গ্রুপপর্ব শেষ করল টম মুডির শিষ্যরা। মিরপুর শের-ই- বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ১.৩০মিনিটে খেলাটি শুরু হয়। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করছে গাজী টিভি ও মাছরাঙা টিভি চ্যানেল।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা। কোনো রান না তুলতেই নাহিদুল ইসলামের বলে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তামিম। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে এই অফস্পিনারের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন আনামুল হক। খানিক পর মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে শহিদুল ইসলামকে ইমরুল কায়েস ক্যাচ দিয়ে ফিরলে বিপাকে পড়ে দলটি।

সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শহিদুলের বলে মোহাম্মদ মিথুনকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শামসুর রহমান। এতে চাপে পড়ে কুমিল্লা। থিসারা পেরেরা এ দিন আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। দলীয় ২৩ রানে পঞ্চম উইকেট হিসেবে মাশরাফির দ্বিতীয় শিকার হয়ে তিনি সাজঘরের পথ ধরলে বিপর্যয়ে পড়ে ভিক্টোরিয়ানসরা। ফলে বিপিএল ইতিহাসে দলীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার পথে থাকে কুমিল্লা।

কিন্তু তা হতে দেননি লিয়াম ডসন। পরে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন তিনি। লড়াইটা ভালোই করছিলেন তারা। এতে শংকা কাটিয়ে সামনে এগোচ্ছিল কুমিল্লা। তবে হঠাৎই পথ হারান জিয়াউর। রবি বোপারার বলে রাইলি রুশোকে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ফেরার আগে ২৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রানের সংগ্রামী ইনিংস খেলেন এ হার্ডহিটার।

এরপর চোখের পলকে ভেঙে পড়ে কুমিল্লার ব্যাটিং লাইনআপ। টপঅর্ডারের মতো যাওয়া-আসার প্রতিযোগিতায় নামেন মিডলঅর্ডার ও টেলএন্ডাররা। বোপারার পরের বলেই সোজা বোল্ড হয়ে ফেরেন আবু হায়দার। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগে তার। তবে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে আর পূরণ করতে পারেননি। কিন্তু এতেই ১০০ রানের নিচে ইমরুলদের গুটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।

রানআউটে কাটা পড়েন ওয়াহাব রিয়াদ। এর জের না কাটতেই বোপারার তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া ডসন। ফেরার আগে ২৪ বলে ২ চারে ১৮ রান করেন তিনি। কুমিল্লা শিবিরে শেষ পেরেক ঠুকেন অভিষিক্ত মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদি। তার শিকার হয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন সঞ্জিত সাহা। এতে ৭২ রানেই গুটিয়ে যায় কুমিল্লার ইনিংস।

কুমিল্লাকে অল্প রানে বেঁধে রাখার কৃতিত্ব রংপুর রাইডার্সের সব বোলারদের। তবে বেশি ভুমিকা নাহিদুল ইসলাম, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রবি বোপারার। মূলত এই তিনজনের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে এতো অল্প রানে গুটিয়ে গেছে ভিক্টোরিয়ানসরা। নাহিদুল ২ ওভারে ৯ রানের বিনিময়ে তুলে নেন ২ উইকেট। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে সমান ২ উইকেট নেন অধিনায়ক মাশরাফি। আর ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন বোপারা। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment