কুষ্টিয়া করোনা হাসপাতালে এক দিনে ৯ জনের মৃত্যু

কুষ্টিয়া করোনা হাসপাতালে এক দিনে ৯ জনের মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৯ জন। সোববার (১২ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা।

এদের মধ্যে করোনায় ৮ জন এবং একজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ইউনিটে মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ৩৭৬ জন। এর মধ্যে করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ২৬১ জন। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে নতুন ৯৯০ নমুনা পরীক্ষা করে ২৯১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫০ জনে। শনাক্ত ২৯১ জনসহ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৭৩ জনে।

জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২৯১ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ১১৯ জন, দৌলতপুরের ৫৮ জন, কুমারখালীর ৩১ জন, ভেড়ামারার ৪১ জন, মিরপুরের ৩৮ জন ও খোকসার ৪ জন রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত জেলায় ৭৩ হাজার ৭০৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৭০ হাজার ৭৯২ জনের। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৬৯১ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৯ জন ও হোম আইসোলেশনে আছেন তিন হাজার ৪৩০ জন।

ডা. এম এ মোমেন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের মরদেহ দাফনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণে মানুষ আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার নতুন স্ট্রেইন ছড়িয়ে পড়ায় একজনের দ্বারা অনেক লোক আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রশাসককে আরও কঠোর হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটিকে ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণার পর থেকে রোগীর চাপ বাড়তেই আছে। প্রয়োজনের তুলনায় লোকবল কম। এ জন্য চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন