কেমিক্যাল গুদামে আবারও আগুন: দায়িত্বে অবহেলায় আইনি ব্যবস্থার দাবি

কেমিক্যাল গুদামে আবারও আগুন: দায়িত্বে অবহেলায় আইনি ব্যবস্থার দাবি

বারবার সুপারিশ করার পরও পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে যারা কেমিক্যালের গুদাম সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেননি, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন নগরবিদরা। 

অন্যদিকে ফায়ার সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, কেমিক্যাল ব্যবসার লাইসেন্স দেয়া ও নবায়নে তদারকি থাকলে এমন অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

২০১০ সালের ৩রা জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে ঘটে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনা। এ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ১১৭ জন মানুষ।

২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ঘটে আরেক মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এই ঘটনায় প্রাণ হারান ৭৮ জন।

সবশেষ শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ভোরে আরমানিটোলায় ঘটল আবারও অগ্নিদুর্ঘটনা। আবারও প্রাণহানি আর আহাজারি। এই তিনটি আগুনের ঘটনাকেই ভয়াবহ করে তোলে কেমিক্যালের গুদাম।

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ মনে করেন লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম ও তদারকির অভাবেই আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠছে কেমিকেল গুদাম, ঘটছে দুর্ঘটনা।

তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপনি যে দায়িত্বে আছেন তারা যখন কেমিকেলের লাইসেন্স দেন কোথায় কেমিক্যালের ব্যবসাটা করবে আমরা কি সেই খোঁজখবর নিচ্ছি? তাদের বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্ন পরিদর্শক আছেন এগুলো দেখার জন্য। 

প্রতিটি ঘটনার পর আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যালের গুদাম সরিয়ে নেয়ার সুপারিশ করা হলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন দেখা যায় না। এ অবস্থায় যারা সুপারিশ বাস্তবায়ন করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এই নগরবিদ।

নগরবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বাস্তবায়নে যারা দায়ী ছিলেন তাদের সুনির্ধারিত বিচারের আওতায় আনাটা এখন জরুরি। আমি মনে করি এর পুনরাবৃত্তির মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ করছে আমরা সাংঘাতিকভাবে মানবজীবনের মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছি।  

যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদারকি ও ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতাও খুব জরুরি বলে মনে করেন নগরবিদরা।

আপনি আরও পড়তে পারেন