কেরানীগঞ্জের কালিন্দী ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

কেরানীগঞ্জের কালিন্দী ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

ভেঙে যাওয়ার দুই বছর পার হলেও কেরানীগঞ্জ উপজেলার কালিন্দী ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ কালিন্দী মাঠ সংলগ্ন পাকা ব্রিজটি সংস্কার না করায় ব্রিজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পাড় হচ্ছে দুই পাড়ের মানুষ। সেতুটির এক পাশে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কালিন্দী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গুলিস্তান-বান্দুরা আঞ্চলিক সড়ক এবং অন্যপাশে উপজেলার জনপ্রিয় কালিন্দী খেলার মাঠ, মসজিদ, গোরস্থানসহ একাধিক স্কুল মাদ্রাসা।

তাছাড়া কালিন্দী আমিরাবাগ, আতাশুর, মুক্তিরবাগ, কাজিরগাওসহ পাশের বাস্তা ইউনিয়নেরও লক্ষাধিক লোক এই ব্রিজটি দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। মনু ব্যাপারীর ঢাল থেকে গদারবাগ, বোরহানিবাগ হয়ে কাজীর গাও যাওয়ার প্রধান রাস্তাটির বেহাল দশা হওয়ায় ভাঙা ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াতে গুরুত্ব বেড়েছে বহু গুন।

উপজেলার শীর্ষস্থানীয় একাধিক স্কুল-কলেজ, বিশাল কবরস্থান, মাদ্রাসা, মসজিদ এবং খেলার মাঠটিরর জন্য ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নামীদামী সব স্থাপনার পাশে এমন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটির দ্রুত সংস্কার চায় এলাকাবাসী।

বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মোঃ আলী হোসেন জানান, ব্রিজটি শুধু এই এলাকা নয় বরং পুরো কেরানীগঞ্জবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজটি দিয়ে সবার পরিচিত কালিন্দী মাঠ ছাড়াও স্থানীয় গোরস্থান, মসজিদ এবং দুই পাড়ের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। ব্রিজের এক পাশে মাটি ভরাট তথা স্থাপনা থাকায় ব্রিজটিরও কোন প্রয়োজন নেই এখানে। তাই ব্রিজটি ভেঙে সেখানে রাস্তা করে দিলে যাতায়াতের সুবিধা হয়।

অপর ভুক্তভোগী মঈন বলেন, আমরা ব্রিজ দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করি। ব্রিজের মাঝখানে বড় বড় গর্ত থাকায় যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই ব্রিজে যাতায়াত করি। কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই আমরা দ্রুত এর সংস্কার চাই।

কালিন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জানান, করোনার জন্য আপাতত ব্রিজের কাজটি করা যাচ্ছেনা। লকডাউনের পর পরিস্থিতি একটু অনুকূলে আসলেই ব্রিজটি সংস্কার করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহজাহান বলেন, এ ব্যাপারে আমার নিকট কেউ আসেনি। আর ব্রিজটি কোন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তাও জানি না। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন