ঢাকার কেরানীগঞ্জে শিউলি আক্তার (৩০) নামে এক যুবতীর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন বন্দ নজরগঞ্জ এলাকায় আবু হাজির বাড়ির ৬ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে ।
এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির ম্যানেজার, তার ছেলে সহ এক মহিলাকে থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, সকালে আবু হাজির বাড়ি ম্যানেজার ফোন করে জানায়, ৬ তলার একটি রুমে ভেতর থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ আসছে এবং রুমটি ভেতর দিয়ে আটকানো। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার রুম খোলে শিউলির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রেরণ করি।
মৃত শিউলির ভাই মো. মানিক জানান, আমার বোন রামপুরায় তার পাঁচ(৫) বছরের শিশু সন্তান ও স্বামী কে নিয়ে ভাড়া থাকতো। আমাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ। ঈদের ছুটিতে বোন জামাই তার ৫ বছরের সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা যায়। বোন গর্ভবতী থাকায় তাকে সাথে নিয়ে যায়নি। শিউলির সাথে শেষ কথা হয়েছে ঈদের পরের দিন রাতে। তখনও ওর কথাবার্তায় মনে হয়েছিলো স্বাভাবিক। আজ সকালে থানা থেকে ফোনে বলে আমার বোন মারা গেছে। ও রামপুরা থেকে কেরানীগঞ্জ কবে আসলো তা জানি না। আমি সকালে থানায় আসি। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ সনাক্ত করি। লাশ পঁচে গেছে। বোন জামাই ঢাকায় আসার জন্য কুমিল্লা থেকে রওনা দিয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাঈনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে এটা হত্যাকান্ড। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।