কোরবানির পশুর মাংস বিক্রি করা জায়েজ কি?

কোরবানির পশুর মাংস বিক্রি করা জায়েজ কি?
Brand Bazar
Brand Bazar

আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পশু জবাই করাকে কোরবানি বলে। আর কোরবানি করা অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। আর্থিক ইবাদতসমূহের মধ্যে কোরবানির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ফলে কোরবানির বিভিন্ন মাসআলাগুলোও জেনে রাখা জরুরি।

কোরবানির পশুর গোশত-চামড়া বিক্রি

 

আলী ইবনে আবী তালিব (রা.) বলেন, ‘নবী করিম (সা.) আমাকে তার (কোরবানির উটের) আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করতে বলেছিলেন। তিনি কোরবানির পশুর গোশত, চামড়া ও আচ্ছাদনের কাপড় সদকা করতে আদেশ করেন এবং এর কোনো অংশ কসাইকে দিতে নিষেধ করেন। তিনি বলেছেন, আমরা তাকে (তার পারিশ্রমিক) নিজের পক্ষ থেকে দেব।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস :  ১/২৩২)

কোরবানির পশুর হাড় বিক্রি করা যায়?

কোরবানির মৌসুমে অনেক মহাজন কোরবানির হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ। এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কোরবানিদাতার জন্য নিজ কোরবানির কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েজ হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনেশুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। (বাদায়িউস সানায়ি : ৪/২২৫; কাজিখান ৩/৩৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩০১)

কাজের লোককে কোরবানির গোশত দেওয়া

কোরবানির পশুর কোনো কিছু পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েয নয়। গোশতও পারিশ্রমিক হিসেবে কাজের লোককে দেওয়া যাবে না। অবশ্য এ সময় ঘরের অন্যান্য সদস্যদের মতো কাজের লোকদেরও গোশত খাওয়ানো যাবে। (আহকামুল কোরআন, লিল-জাস্সাস : ৩/২৩৭; বাদায়িউস সানায়ি : ৪/২২৪; আল-বাহরুর রায়েক : ৮/৩২৬; ইমদাদুল মুফতিন : পৃষ্ঠা : ৮০২)

আপনি আরও পড়তে পারেন