খুলনার চার হাসপাতালে প্রাণ গেল ২৪ জনের

খুলনার চার হাসপাতালে প্রাণ গেল ২৪ জনের

খুলনার চার হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রোববার (১৮ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে করোনায় ১৭ জন এবং উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ১৫ জন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আটজন ও উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় মৃতরা হলেন- খুলনার শিরোমনি এলাকার মীর আ. গফুর (৯০), দিঘলিয়ার জাহানারা (৬০), নবীজা (৭০), ঝিনাইদহ মহেশপুরের হোসনেয়ারা খাতুন (৫০), পিরোজপুরের কাউখালীর হাসি রানী (৫০), ঝিকরগাছার মুক্তা (৩০), মোল্লাহাটের চানমিয়া (৬৫) ও বাগেরহাটের হাফিজ শেখ (৫৭)।

হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০৬ জন। যার মধ্যে রেডজোনে ১৪১ জন, ইয়ালোজোনে ২৬ জন, আইসিইউতে ১৯ জন এবং এইচডিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫ জন।

খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- খুলনার দিঘলিয়ার সোলায়মান (৮০), পাইকগাছার জমিরউদ্দীন (৭৫) ও যশোরের শার্শার কুতুবউদ্দিন (৬৬)।

এ ছাড়া করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪২ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন তিনজন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুজন।

খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- খুলনার বটিয়াঘাটার সুচিত্রা (৬০) ও নড়াইল লোহাগাড়ার সরুলিয়ার শামসুন্নাহার (৫৫)। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুজন।

বেসরকারি গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- খুলনার কয়রার হাতিয়ারডাঙ্গার নীতিশ কুমার বাছাড় (৬৫), তেরোখাদার দাউদ আলী তালুকদার (৮০), ফুলতলার শিরোমনির মিয়া মাহমুদুর রহমান (৯১) ও যশোর সদরের রোজি (৬৫)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ৯৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে ৯ জন এবং এইচডিইউতে সাতজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। হাসপাতালের আরটিপিসিআর ল্যাবে ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন