গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা খুঁজে বের করা উচিত : হাইকোর্ট

গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা খুঁজে বের করা উচিত : হাইকোর্ট

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে এ বিষয়ে তথ্য দিতে গোয়েন্দারা কেন ব্যর্থ হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা খুঁজে বের করা উচিত : হাইকোর্ট

সোমবার আলোচিত এ মামলার রায় প্রদানকালে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যর বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ প্রশ্ন তোলেন। এ বিষয়ে আদালত সাত দফা সুপারিশ দিয়েছেন।

সুপারিশে আদালত বলেছেন, কোনো রকম ষড়যন্ত্র ছাড়া এতো বড় হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে না। সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারকে বিপদে ফেলা এবং রাজনৈতিক সংকট তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিলো।

সাত দফা সুপারিশে বলা হয়,
১. অপারেশন ডাল-ভাত কর্মসূচিতে বিডিআরের মতো এ ধরনের ফোর্সকে যুক্ত করা উচিত হয়নি। আইনশৃংখলা বাহিনীতে এ জাতীয় কর্মসূচি যেন না নেওয়া হয়।

২. বিজিবি আইন অনুযায়ী বাহিনীতে সৈনিক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে পেশাদারিত্ব বজায় রাখা উচিত। এজন্য সময় সময় অভ্যন্তরীণ মতবিনিয়ের আয়োজন করা যেতে পারে।

৩. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি দাওয়া পাঠানো হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা নিরসন করা হয়নি। তাই ভবিষ্যতে দাবি দাওয়া থাকলে দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।

৪. বাহিনীর সদস্যদের কোনো সমস্যা থাকলে তা বিজিবির ডিজি সমাধান করবেন।

৫. যদি তাদের কোনো পাওনা থাকে সেটিও দ্রুত সমাধান করতে হবে।

৬. যেকোনো সমস্যার দ্রুত নিষ্পন্ন করতে হবে।

৭. বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার আগাম তথ্য দিতে গোয়েন্দারা কেন ব্যর্থ হয়েছে সেটিও খুঁজে বের করা উচিত বলেও আদালত মতামত দিয়েছেন।

পরে আদালত রায়ের মূল অংশ ঘোষণা করতে বেলা ২টা ৩০ মিনিট সময় নির্ধারণ করে বিরতিতে যান।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, আজকের পর্যবেক্ষণে সাত পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। তার মধ্যে একটি হলো ডাল-ভাত কর্মসূচির দেওয়ার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।

একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর দ্বারা এ রকম একটি কর্মসূচি দেওয়া উচিত ছিল না। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment