গ্যাসের দাম ফের বৃদ্ধির প্রস্তাব

http://agamirsomoy.com/%e0%a6%85%e0%a6%ac%e0%a6%b8%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a6%b0-%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a7%87/85908

গ্যাসের দাম আবার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ দফায় সব ধরনের গ্যাসের দাম ৬০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। আগামী মাসে দাম বাড়ানোর গণশুনানি  করার পরিকল্পনা করছে বিইআরসি।

নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী দাম বাড়লে বাসাবাড়িতে দুই বার্নার চুলার বিল ৮০০ থেকে বেড়ে ১২০০ টাকা করা হবে। এছাড়া এক বার্নারের দাম ৭৫০ থেকে বেড়ে ১০০০ টাকা করা হবে। আবাসিক ছাড়াও দাম বাড়বে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ক্যাপটিভ পাওয়ার, সিএনজি, শিল্প ও সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বাড়তে পারে বিদ্যুৎ, সার ও সিএনজি গ্রাহকদের।

গত সপ্তাহে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে তিতাসসহ বিতরণ কোম্পানিগুলো নতুন প্রস্তাব দিয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসে সরকার। জাতীয় নির্বাচনের কারণে সরকার তখন দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে ধারণা করা হয়।

গত বছরের ১৮ আগস্ট থেকে পাইপলাইনে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) যুক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার এলএনজি আমদানি করেছে সরকার।

প্রতি ইউনিট ৩২ টাকা দরে আমদানি করে ওই গ্যাস সাত টাকা ১৭ পয়সা দরে বিক্রি করার কারণে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়েছে বলে জানা যায়।

কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণের পর আগস্টে বাংলাদেশ এলএনজি যুগে প্রবেশ করে। কাতার থেকে এলএনজি আমদানি করে ওই টার্মিনালের মাধ্যমে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে দেয়া হচ্ছে। উচ্চমূল্যের এলএনজি আমদানি করে এতদিন ভর্তুকি দিয়ে সরকার জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করেছিল। এ ভর্তুকি কমাতে সব ধরনের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment