গ্যাসের রাইজার বিস্ফোরণে বাবা-ছেলের মৃত্যু, দগ্ধ ২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বাজার এলাকায় গ্যাসলাইনের রাইজার বিস্ফোরণে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন ওই পরিবারের আরও দুজন।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধরা হলেন : মকবুল হোসেন (৪০) তার স্ত্রী রেখা আক্তার (৩২) এবং ছেলে জয় (৯)। সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন মারা যান।

দগ্ধ মকবুলের ভাতিজা মমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার চাচা এবং চাচি দুজনেই মাতৃছায়া ক্যাডেট স্কুলে শিক্ষকতা করেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রান্না করার সময় রাইজার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চাচা-চাচিসহ আমার দুই চাচাতো ভাই দগ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই মকবুল হোসেনের ছোট ছেলে জুবায়ের (৬) মারা যায়। পরে তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আজ সন্ধ্যায় আমার চাচা মকবুল হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

তিনি আরও বলেন, আমার চাচি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জয়ের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

রোগীর বর্তমান অবস্থা নিয়ে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. বিধান সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এখানে আজ সকালে তাদের ভর্তি  করা হয়েছিল। মকবুল হোসেনের শরীরের ৬২ শতাংশ, তার স্ত্রী রেখার শরীরের ৪০ শতাংশ এবং ছেলে জয়ের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়। আমাদের এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন মারা গেছেন।

তিনি আরও বলেন, বাকি দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমাদের এখানে আইসিইউ ও এইচডিইউ নেই। আমরা তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট রেফার করেছি। কিন্তু শেখ হাসিনা বার্নে আইসিইউ ফাঁকা না থাকায় তাদের এখানে চিকিৎসা দিচ্ছি। রোগীর অবস্থা যেকোনো সময় খারাপ হয়ে যেতে পারে।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন