ঘাটাইলে আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের আনন্দের হাসি

ঘাটাইলে আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের আনন্দের হাসি

সৈয়দ মিঠুন
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে ঘাটাইলের মাঠে মাঠে সোনালি পাকা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। আমনের ফলনে কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে। নবান্নের শুরুতে ঘরে ঘরে চলছে পিঠা-পায়েস তৈরির প্রস্তুতি। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনে চাষিদের মনে বইছে আনন্দের বন্যা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সন্ধানপুর, রসুলপুর, সাগরদিঘী, লক্ষিন্দর, ধলাপাড়াসহ ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে এ বছর আমনের মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমি। যা গত বছরের তুলনায় ২ হাজার ৬৫০ হেক্টর বেশি। রোপা আমন ধান অর্জিত ২৩ হাজার ৫৬০ হেক্টর। আমন মৌসুমে ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬১ হাজার ৭২৮ মেট্রিক টন চাল। এ বছর ফলন হয়েছে ৯২ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন ধান যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দেড়গুণ বেশি।রামদেবপুর গ্রামের কৃষক মনসুর আলী বলেন, এ বছর তিন বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। এক বিঘা বন্যায় নষ্ট হলেও দুই বিঘা জমির ধান ভাল হয়েছে।সিংগেরচালা গ্রামের সুজন মিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে আড়াই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় পোকা মাকড়ের আক্রমন কম হওয়ায় রোগ বালাইও কম হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় ফলন ভাল হয়েছে।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে জানা যায়, গত বছর জেলায় ৮৬ হাজার ৯০৬ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৮৮ হাজার ২৫২ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছিল। চলতি বছর ৮৮ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে ৮৯ হাজার ৮৬১ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ৬০১ হেক্টর বেশি।উপজেলা কৃষি অফিসার দিলশাদ জাহান বলেন, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কারণ আমনে তেমন সেচের প্রয়োজন হয় না, সার কম খরচ হয়। বাজারে ধানের দাম ভাল। এভাবে ধানের দাম থাকলে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন