আগামী অর্থ বছরের বাজেটে চট্টগ্রামের নয় উন্নয়ন প্রকল্পে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা।
শনিবার চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। একইসঙ্গে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি।
“তাই কর্ণফুলী টানেল, চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণে বে-টার্মিনাল নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেনের করা, মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মিরসরাইয়ে একটি ও আনোয়ারায় দুটি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন এবং নগরীর রিং রোডসমূহ বাস্তবায়নে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।”
জাতীয় স্বার্থে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে বিশেষ অনুরোধ জানান চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি।
ব্যবসা, উন্নয়ন ও বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রণয়নে সরকারের অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, “২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা থেকে সপ্তম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনার দিকে অগ্রসর হচ্ছি।
“এর মধ্য দিয়ে এমডিজি (মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল) থেকে আমরা এসডিজির (সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল) প্রেক্ষাপটে যাব।”
আলোচনায় চট্টগ্রাম চেম্বারের পক্ষ থেকে ২১৮টি পস্তাব পেশ করা হয়। এর মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত ১৪২টি, ভ্যাট সংক্রান্ত ২১টি এবং আয়কর সংক্রান্ত ৫৫টি প্রস্তাব রয়েছে।
এরমধ্যে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো, অনাকাঙ্খিত সারচার্জ প্রয়োগ না করা, প্রস্তাবিত মূসক আইন আলোচনা ছাড়া একতরফা ভাবে চাপিয়ে না দেয়া, দ্বৈত কর পরিহারের প্রস্তাবও আছে।
আলোচনা শেষে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “আপনাদের মতামত বাজেটে প্রতিফলিত হবে।”
এনবিআরের সদস্যরা ও বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা আলোচনা সভায় অংশ নেন।