চট্টগ্রাম নগরীতে বস্তিতে আগুন লেগে ১৬৩টি ঘর পুড়ে ছাই।

মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মির্জাপুল এলাকায় একটি বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও প্রায় ১৬৩ এক কক্ষের টিনশেড ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে মির্জাপুল সংলগ্ন ডেকোরেশন গলির ওই বস্তিতে আগুন লাগে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন জানান, সকালে সাড়ে ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কালুরঘাট, চন্দনপুরা, নন্দনকানন এবং আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের ১২টি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, ওই বস্তিতে ঢোকার পথ সরু থাকায় ফায়ার স্টেশনের গাড়িগুলো ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। ৮ থেকে ১২টি হোসপাইপ দিয়ে আগুনের ওপর পানি ঢালা হয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হয়।
পাঁচলাইশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু তালেব জানান, ডেকোরেশন গলির শেষ মাথায় শাহনেওয়াজ কলোনির ভাড়াটিয়া লাকি আক্তারের টিনশেড বেড়ার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। পরে তা বাবু কলোনি, খোকন কলোনি, শওকত নেওয়াজ কলোনি এবং মো. হোসেন কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে এসব কলোনির ১৬৩টি টিনশেড বেড়ার ঘর পুড়ে গেছে।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত না হলেও তাড়াহুড়া করে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে অনেকের হাতে-পায়ে চোট লেগেছে। তাদের রেডক্রিসেন্টের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় আড়াইশ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পরে তাদের জন্য শুকনো খাবার এবং কম্বল নিয়ে যাবো আমরা। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় সম্বল হারানো অসহায় মানুষদের পাশে থাকবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণে প্রয়োজনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন