বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, আইন লঙ্ঘন করে, সংবিধান না মেনে নির্জন-পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি করার কারণে সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি সভাপতি কর্ণেল (অব.) ড. অলি আহমেদ বীর বিক্রম।
তিনি বলেন, আগামী এক বছর বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সংকটপূর্ণ সময়। কারণ সরকারের ভুল রাজনীতির কারণে এবং সর্বত্র দলীয়করণের ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ। অর্থনৈতিকভাবে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ গরিব মানুষ অসহায় জীবনযাপন করছেন। দেশে এখন প্রতিনিয়ত হত্যা, গুম, নির্যাতন আর দুর্নীতি হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের পাশাপাশি ব্যাংক লুটপাট হচ্ছে। হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন লুটপাট-কেলেঙ্কারির শিকার মানুষ। নয়াপল্টনে শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন।অলি আহমেদ বলেন, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার দলীয়করণের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সুশাসন সুদূরপরাহত। এসব কারণে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নেই, সরকার জনবিচ্ছিন্ন। এখন জনগণ সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নামার অপেক্ষায়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, জনগণের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুবারের বিরোধীদলীয় নেতা এবং ৭৫ বছর বয়সের এই নেত্রী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। দেশের মানুষ মনে করে, তার নামে মিথ্যা মামলা ও তথ্য দিয়ে অবিচার করা হয়েছে। মানসিকভাবে নির্যাতন করার জন্য তাকে পরিত্যক্ত, নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে। কর্নেল (অব.) অলি জানান, সরকার মনে করেছিল এ কাজের মাধ্যমে তারা বাহবা পাবে। কিন্তু তিনি মনে করেন, গত নয় বছরে এ সিদ্ধান্ত হলো সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল, যা তাদের ধ্বংস করে দিতে পারে। জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে কোনো বিবেকবান ব্যক্তিই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলার শাস্তি মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ২০ দলীয় জোট নেতা এলডিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কল্যাণ পার্টি ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান তামান্না, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।