ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েলসহ আটক ৩

ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েলসহ আটক ৩

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। তার সঙ্গে সংগঠনের সহ-সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোস্ত্মাফিজুর রহমান রুমিকেও আটক করা হয়।

সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে যাত্রাবাড়ির কাজলা থেকে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে বলে দাবি করেছেন তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদল নেতা বেলাল হোসেন।

তাদের আটকের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ তিন নেতাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি। সোমবার রাতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেছেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমান রুমীকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখন পর্যন্ত তাদের কোনো হদিস দিচ্ছে না। এটি ভয়াবহ অমানবিক ও দস্যুবৃত্তিমূলক কাজ। রাষ্ট্রের মদদে এখনও বিরোধী দল নিধনে বেপরোয়া কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, মিডনাইট নির্বাচনের পরও সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভয় পাচ্ছে। অজানা আতঙ্কে সবসময় উদ্বিগ্ন থাকছে। তাই গুম, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো নিষ্ঠুর কাজ অব্যাহত রেখেছে। বিরোধী দলশুন্য না করলে নব্য বাকশালী ব্যবস্থা কায়েম করা যাবে না। তাই বিরোধী দল ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের অদৃশ্য করা হচ্ছে। জুয়েল, সিরাজ এবং রুমীকে তুলে নিয়ে যাওয়া অশুভ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিপজ্জনক কোন কিছু ঘটার ইঙ্গিতবাহী।

ফখরুল বলেন, বিরাজমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ দু:শ্চিন্তাগ্রস্ত, অশান্তি ও গভীর শংকার মধ্যে দিন যাপন করছে। এই তিনজন ছাত্রদল নেতা নিখোঁজ থাকার ঘটনায় তাদের পরিবার ও বিএনপি নেতা কর্মীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমি অবিলম্বে তাদেরকে প্রকাশ্যে উপস্থিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ তাদেরকে সরকারের এজেন্সিগুলোই তুলে নিয়ে গেছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন