জমি লিখে না দেওয়ায় শাশুড়িকে নির্যাতন

জমি লিখে না দেওয়ায় শাশুড়িকে নির্যাতন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জামাই ইসমাইলকে জমি লিখে না দেওয়ায় শাশুড়ি সুফিয়া বেগমকে (৮০) মারধর করে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ১টায় পৌর শহরের উপজেলার বাদুরতলী এলাকার একুশে সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত সুফিয়া বেগম ছেলে সোহরাব শনিবার কলাপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।

আহত সুফিয়া বেগম পৌর শহরের বাদুরতলী এলাকার একুশে সড়কের মৃত মোসলেম খানের স্ত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইসমাইল খাঁ শ্বশুরবাড়িতে জোর করে ঘর তুলে বসবাস করে আসছেন। বিভিন্ন সময় ইসমাইলকে ঘর নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হলে তিনি যাচ্ছিল না। ওই ঘরের জমি নিজের নামে লিখে দিতে শাশুড়িকে বলেন। এতে শাশুড়ি রাজি না হওয়ায় ইসমাইল খাঁ ও তার ছেলে নাঈম এবং ফেরদৌস মিলে কিল, ঘুষি, চড়, থাপ্পড় দিয়ে বৃদ্ধ সুফিয়া বেগমকে আহত করে।

এ সময় সুফিয়া বেগমকে বাঁচাতে এসে তার ছেলে সোহরাব (৩৪) ও ছেলের স্ত্রী শাহিদাকেও (২০) বেধড়ক মারধর করে আহত করে তারা।

এ বিষয়ে সোহরাব বলেন, ইসমাইল খাঁ আমার বড় বোনের জামাই। সে কলাপাড়া থানার কথিত সোর্স পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। কয়েক মাস আগে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিল। জেল থেকে বেরিয়ে আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সে জন্য আমাদের বাড়ি থেকে তাকে চলে যেতে বলা হয়।

কিন্তু সে না গিয়ে উল্টো বাড়ির জমি নিজের নামে লিখে নিতে উঠে পড়ে লাগে। এতে রাজি না হওয়ায় মাকে, আমি ও আমার স্ত্রীকে মেরে রক্তাক্ত করে সে। আমার মা বর্তমানে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইসমাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কারণ তিনি বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।

কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুর রহমান  বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন