জলেই গেল জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘হাজার কোটি টাকার প্রকল্প’

জলেই গেল জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘হাজার কোটি টাকার প্রকল্প’

সকালের এক পশলা বৃষ্টিতে আবারও ডুবল বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। তিন ঘণ্টায় মাত্র ২১ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায় নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক থেকে বেশকিছু এলাকা।

 কোনো কাজেই আসছে না জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। 

বুধবার (৩০ জুন) সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায় নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম এলাকা হিসাবে পরিচিত জি ই সি মোড়। থৈ থৈ করা পানি মাড়িয়ে চলতে হয় পথচারীসহ যানবাহনগুলোকে। একই পরিস্থিতি ষোলশহর দু’নম্বর গেইট হয়ে মুরাদপুর এবং বহদ্দারহাটে। বাদ যায়নি চকবাজার-কাপাসগোলা এলাকা। সামান্য বৃষ্টিতেই নগরীতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে। 

বড় বড় ড্রেনগুলোর ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় মুরাদপুর এবং বহদ্দারহাট এলাকার জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে। আর সেই ময়লা অপসারণে কাজ করেছে সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। মূলত নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে সংস্থাটি। 

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, শহরবাসী যে ময়লা আর্বজনা যেভাবে ফেলে, সেগুলো ভেসে এসে জড়ো হয়ে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আমরা সেই প্রতিবন্ধকতা ছাড়িয়ে দেই, যাতে পানিটা চলে যায়।    
সামান্য বৃষ্টিতে নগরী তলিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দুষছেন নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। বলেন, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। আর ড্রেনেজ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় জনদুর্ভোগ কীভাবে লাঘব করতে হবে সেটা মাথায় না রেখে ও সর্বপ্রথম কি কাজ করতে হবে সেসব বিবেচনা না করার কারণে আজও আমরা এ সংকটে পড়ে আছি।     

বিভিন্ন স্থানের ড্রেন থেকে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের পর এদিন দুপুর ১টার দিকে প্রধান সড়কগুলো থেকে পানি নেমে গেলে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

আপনি আরও পড়তে পারেন