জাতীয় জাদুঘরে বাহারি জামদানির পসরা

জাতীয় জাদুঘরে বাহারি জামদানির পসরা

এই নগরীতে নানা রঙের পোশাকের ভিড়ে ঐতিহ্যবাহী জামদানি দেখা ও কেনার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। তাদের যৌথ আয়োজনে আজ রোববার জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনশালায় শুরু হয়েছে জামদানি প্রদর্শনী। ঈদুল ফিতর সামনে রেখে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

জাতীয় জাদুঘরে বাহারি জামদানির পসরা

১০ দিনের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সংস্কৃতিসচিব বেগম আক্তারী মমতাজ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুচেন চন্দ্র দাস। সভাপতিত্ব করেন বিসিক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হযরত আলী। এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী।

প্রদর্শনীতে জামদানি শাড়ি ও বস্ত্র প্রস্তুতকারী ২০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। নিপুণ কারুকার্য ও বাহারি নকশার জামদানি শাড়ি ছাড়াও থ্রি পিস, টু পিস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, রুমাল, ওড়না, টেবিল ক্লথ ও অন্যান্য পণ্যের সমারোহ ঘটেছে এ প্রদর্শনীতে।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, বিসিক জামদানিশিল্পের উন্নয়নে কারুশিল্পীদের একই স্থানে শিল্প স্থাপনে অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ প্রদান, উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিপণন সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিসিক প্রায় ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলাধীন তারাবো ইউনিয়নের নোয়াপাড়াতে ২০ একর জমির ওপর ইতিমধ্যে জামদানি শিল্পনগরী ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এ শিল্পনগরীতে মোট ৪০৯টি শিল্প প্লট রয়েছে। ৩৯৯টি প্লট উদ্যোক্তাদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখানে ৩৬৩টি জামদানি শিল্প-কারখানা স্থাপিত হয়েছে। একটি হাটকর্নার স্থাপন করা হয়েছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, ‘ব্রিটিশ শাসকদের নির্যাতন ও নিপীড়ন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চরম অবহেলা ও অসহযোগিতার মধ্যেও আমাদের জামদানি বেঁচে আছে। আর একাত্তরের স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে জামদানি কারুশিল্পীরা কিছুটা হলেও নতুন পথের সন্ধান খুঁজে পেয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জামদানিশিল্প খাত বিকশিত হয়েছে, বাড়ছে এর চাহিদা ও বাজার।’

প্রদর্শনী ২৮ জুন পর্যন্ত শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা এবং অন্যান্য দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment