জাপানি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে অফ-শোর ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপনের আহ্বান

জাপানি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে অফ-শোর ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপনের আহ্বান

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের তরুণদের কাজে লাগাতে জাপানি আইটি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে অফ-শোর ডেভেলপমেন্ট সেন্টার স্থাপনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশি আইটি প্রতিষ্ঠানসমূহকে জাপানের ব্যবসা সম্প্রসারণের ওপর গুরুতারোপ করেন।  

প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফট্‌ওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) এর যৌথ উদ্যোগে জাপানি কোম্পানির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন, বাজার গবেষণার লক্ষ্যে আয়োজিত “বাংলাদেশ জাপান বিটুবি আইটি বিজনেস ম্যাচমেকিং মিটিং ২০২১” অনুষ্ঠানের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল দেশ। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমন্বিত উন্নয়ন সূচকে অনেক বড় দেশকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে ৩৪ তম অবস্থানে রয়েছে। আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ।

তিনি আরো বলেন, অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, গ্লোবাল অনলাইন ওয়ার্কফোর্সে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এ সাফল্য অর্জনে চালিকাশক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছে দেশের সব খাতে আইসিটির স্মার্ট ব্যবহার।

প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে পলক বলেন আইসিটি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী কোম্পানিগুলোকে ব্যয় সাশ্রয়ী সেবা দিতে ৩৯ টি হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, স্কুল অব ফিউচার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০২৫ সালে আইটি খাত হতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পলক জাপান বাংলাদেশের দীর্ঘ পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে বলেন জাপানি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন, ব্যবসা সম্প্রসারণ, এবং বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে এ বিটুবি ম্যাচমেকিং প্রোগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. ইতো নাওকি, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য।

আপনি আরও পড়তে পারেন