জার্মানিতে মানবদেহে তৃতীয় ভ্যাকসিনের ট্রয়াল শুরু

বায়োটেক ও কিউরভ্যাকের পর জার্মানিতে মানবদেহে ট্রায়ালের জন্য আরো একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। বায়োটেক প্রতিষ্ঠান আইডিটি বায়োলজিকা ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার কথা জানিয়েছে। তবে আগামী বছরের শেষ দিকে শিশুদের জন্য করোনার ভ্যাকসিন আসবে না বলে জানিয়েছেন তারা।

রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিনের প্রথম চালান পৌঁছেছে ভেনেজুয়েলায়। শিগগিরই দেশটির নাগরিকদের ওপর তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হবে।

ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ বলেন, বিশ্বের প্রথম নিবন্ধকৃত ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভ পাঠিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশ্বের এই পশ্চিমাঞ্চলেআমরাই প্রথম এই ট্রায়াল শুরু করবো।

প্রতিষেধক পেতে দুটি আগাম চুক্তির পর কার্যকর ভ্যাকসিনের জন্য আরো পাঁচটি চুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এস্ট্রাজেনেকার পাশাপাশি মডার্না, জনসন এন্ড জনসন, কিউরভ্যাক এবং যৌথভাবে ফাইজার ও বায়োনটেকের তৈরি প্রতিষেধক নেয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন।

মডার্না ও ফাইজারের ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নেয়া অন্তত ৫ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রতিষেধক নেয়ার পর সারাদিন তাদের অবসাদ, জ্বর ও মাথা ব্যথা ছিল। তবে একদিনের মাথায় উপসর্গগুলো পুরোপুরি কেটে যায় বলে জানান স্বেচ্ছাসেবীরা।

করোনার ইন্ট্রানাসাল বা নাক দিয়ে গ্রহণ করা যায় এমন ভ্যাকসিনের প্রথমধাপের গবেষণার জন্য অনুমোদন দিয়েছে চীন। বেইজিং ওয়ান্তাই বায়োলজিক্যাল ফার্মাসি এন্টারপ্রাইজ, শিয়ামেন ইউনিভার্সিটি এবং হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছেন। ব্যাপকহারে অনেক মানুষের কাছে এই ভ্যাকসিন সহজে পৌঁছানো যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নতুন এক গবেষণায় শিশুদের মাধ্যমে করোনা ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাই শিশুদের জন্যও নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। তবে আগামী বছরের ডিসেম্বরের আগে সহসাই এটি পাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

আপনি আরও পড়তে পারেন