জুরাছড়িতে তামাক ছেড়ে বাদাম চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

জুরাছড়িতে তামাক ছেড়ে বাদাম চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

সুপ্রিয় চাকমা শুভ, রাঙ্গামাটি

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে রাঙ্গামাটির জুরাছড়িতে বাদাম চাষে বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। জুরাছড়ির ৩নং মৈদং ইউনিয়ন জুড়ে চাষ হয়েছে বাদাম। বাদাম চাষের পাশাপশি চাষ হচ্ছে হলুদের।

তবে আগে চাষ হতো তামাক। অনেক কৃষক বর্তমানে তামাক চাষ বাদ দিয়ে এখন বাদাম,হলুদ চাষে ঝুঁকছেন। একেবারে যে তামাক চাষ বাদ দেওয়া হয়েছে তা নয়, বিগত সময়ের তুলনায় এ বছরে কিছুতা সীমিত আকারে চাষ হচ্ছে তামাক। অন্যান্য বছরের তুলনায় বিশেষ করে এবছরে চাষ হচ্ছে বাদাম।

‘এবছরে জুরাছড়ি উপজেলার মোট ৯ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে মৈদং ইউনিয়নে ৩ হেক্টর। গত বছর প্রতি হেক্টর থেকে ১.৮ মে.টন বাদাম উৎপাদন হয়েছিল। এবছর হেক্টর প্রতি ২মে.টন বাদাম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন, জুরাছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুষ্মিতা চাকমা’।

জানা যায়, আগের সময় থেকে জুরাছড়ির ৩ নং মৈদং ইউনিয়নে চাষ হতো তামাক। এক সময়ে ৩নং মৈদং ইউনিয়ন পরিচিত লাভ করেছিল তামাক চাষে। এলাকার অধিকাংশ কৃষক তামাক চাষের উপড় নির্ভরশীল ছিল।

তামাক চাষে লাভজনক হওয়াতে চাষীরা তামাক চাষের দিকে ঝুঁকছিলেন। বাদাম চাষে বাম্পার ফলন ও লাভজনক হওয়াতে গতবছর থেকে এবছরে তামাকের চেয়ে বাদাম চাষে বেশি চাষাবাদ হয়েছে। তামাকের চেয়ে বাদাম চাষে খুব কমই পরিশ্রম দিতে হয়। লাভজনক হওয়াতেই বাদাম চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা।

নতুন বাদামচাষী কৃষাণী কালাচোগী চাকমা বলেন, ‘আমরা বিগত সময়ে তামাক চাষ করেছিলাম।কিন্তু আমাদের একদিকে যেমন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে স্বাস্থ্যগতভাবেও ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয় প্রতি বছর লোকসান গুনতে হয়েছে,তাই এবার তামাকের পরিবর্তে বাদাম চাষ করে লাভবান হবো বলে আশাবাদী’।

মৈদং ইউনিয়নে দায়িত্বরত কৃষি উপ-সহকারি শুভক্ষণ খীসা বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরে অনেক কৃষক বাদাম,হলুদ ঝুঁকছে। আশাকারা যাচ্ছে এবছর বাদাম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হতে পারবে’।

সুজন বিকাশ চাকমা বলেন,‘গত বছর বাদাম চাষ করে এক লক্ষ টাকার বেশি আয় হয়েছে। এবছর ফলন আরো বেশী ভালো হওয়াতে ২লক্ষ টাকার অধিক লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

অপরদিকে একই কথা বলছেন বাদাম চাষী শুভদীনি চাকমা। তিনি বলেন, ‘ঘরে বসে ব্যাবসায়ীদের কাছে থেকে প্রতি কেজি ১২০ টাকা হারে আমরা বাদাম বিক্রি করে থাকি। বাদাম চাষে তেমন পরিশ্রম নেই,বর্ষার পানিতে পলি জমিতে আটকে থাকায় সারও তেমন প্রয়োগ করতে হয় না।

আপনি আরও পড়তে পারেন