ঝুঁকিতে চাঁদপুরের এই ব্যবসা কেন্দ্র

বর্ষা শুরু হওয়ায় আবারও ঝুঁকির মুখে পড়েছে চাঁদপুর শহরের তিন নদীর মোহনা ছাড়াও পাশের পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র পুরানবাজার। উজানের তীব্র স্রোতে নদীতীর সংরক্ষণে ফেলা বালিভর্তি জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক অদৃশ্য হচ্ছে প্রতিদিনই। এতে ভাঙন আতঙ্কে আছেন শহরবাসী। এ অবস্থায় সরকারের কাছে বড় আকারের স্থায়ী একটি প্রকল্প অনুমোদনের আবেদন করা হয়েছে।
প্রতিদিনই ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়া চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ বাঁধের অংশগুলো চিহ্নিত করছেন স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। কারণ, দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জেলা শহরের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া মেঘনাপাড়ের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার নদীতীর এখন প্রায় জরাজীর্ণ। 

এরই মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে একটু একটু করে অদৃশ্য হচ্ছে নদীতীর সংরক্ষণের জন্য ফেলা বালিভর্তি জিও ব্যাগ ও সিসি ব্লক। এতে চলতি বর্ষায় নদীর তীব্র স্রোতে প্রচণ্ড ঝুঁকিতে পড়েছে শহরের বড়স্টেশন এলাকার তিন নদীর মোহনা ও পাশের পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র পুরানবাজার। এ অবস্থায় নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে আছেন নদীপাড়ের বাসিন্দা আর ব্যবসায়ীরা। 

নদীপাড়ের বাসিন্দারা বলেন, নদী জায়গা ভাঙে। ঘর পেছাই। আবার ভাঙে তো আবার পেছাই। কোন সময় যে নদী ভেঙে নিয়ে যায়, সেই আতঙ্কেই থাকি।  
চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট তমাল কুমার ভৌমিক বলেন, প্রকল্পটি শুষ্ক মৌসুমে নিয়ে চাঁদপুরকে স্থায়ীভাবে রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এটা রক্ষা পাবে।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানালেন পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। তিনি বলেন, স্থায়ী বাঁধ রক্ষা করা প্রয়োজন। সেটি নিয়ে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সরকারের কাছে একটা বড় প্রকল্প জমা দিয়েছেন।
এদিকে, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেফাত জামিল জানিয়েছেন, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের আপদকালীন প্রস্তুতির কথা।
এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন নামে তিন হাজার কোটি টাকার স্থায়ী একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে। জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তাবটি অনুমোদন করে সরকারের দ্রুত কাজ শুরু করা দরকার মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
https://www.youtube.com/watch?v=jP8D55Qc7MU&t=19s

আপনি আরও পড়তে পারেন