টপ অর্ডারই খুলনার ‘গোপন অস্ত্র’

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুরু থেকে একত্রে জ্বলে উঠতে পারেনি খুলনা টাইগার্সের টপ-অর্ডার। তবে ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ফুটিয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো। কিন্তু টুর্নামেন্টর শেষদিকে জ্বলে উঠেছেন খুলনার দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদি হাসান মিরাজ। এবারের বিপিএলের তৃতীয় ও একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে সেঞ্চুরি করেন শান্ত। আর শেষ কয়েক ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন মিরাজ। তাই ফাইনাল ম্যাচেও টপ-অর্ডারের দিকে চেয়ে আছে খুলনা। এজন্য ইন ফর্ম টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সহায়তায় শিরোপা জিততে মরিয়া খুলনা।

এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের তালিকায় সেরা দু’টি স্থানে রয়েছেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিক ও রুশো। সমান ১৩ ইনিংসে ব্যাট করে মুশফিক ৪৭০ ও রুশো ৪৫৮ রান করেছেন।

ওপেনার হিসেবে নেমে ব্যাট হাতে রানের দেখা পান মিরাজ। ২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৮৮ রান করেছেন তিনি। এরমধ্যে অপরাজিত ৮৭ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংসও আছে মিরাজের।

টুর্নামেন্টের শেষদিকে এসে বড় চমক দেখাচ্ছেন শান্ত। প্রথম ৮ ম্যাচে ১১৫ রান করেছিলেন তিনি। আর লিগ পর্বে শেষ ম্যাচে করেন ১১৫ রান। অর্থাৎ, ঐ ইনিংসে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রান করেন শান্ত। তাই ঐ ইনিংসের কল্যাণেই ঢাকাকে হারিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান পায় খুলনা। এতে প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে জায়গা করে নেয় খুলনা। ব্যাট হাতে রান করার ধারাবাহিকতা প্রথম কোয়ালিফাইয়ারেও ধরে রাখেন শান্ত। রাজশাহীর বিপক্ষে দু’বার জীবন পেয়ে ৫৭ বলে অনবদ্য ৭৮ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। সাথে পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমিরের ১৭ রানে ৬ উইকেট শিকারে রাজশাহীকে ২৭ রানে হারায় খুলনা।

টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সাথে খুলনার বোলাররাও দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমির। প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে আমিরের আগুন ঝড়ানো বোলিং চোখে পড়েছে ক্রিকেটপ্রেমিদের। দলের খেলোয়াড়রা সেরা ফর্মে থাকলেও, মাটিতেই পা রাখছেন খুলনার ইংল্যান্ডের কোচ জেমস ফস্টার, ‘রাজশাহী দুর্দান্ত ও শক্তিশালী দল। তাদের কাল হারাতে হলে আমাদের সেরা পারফরমেন্স করতে হবে। আমরা যতটা সম্ভব প্রস্তুত হয়েছি। আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। আমরা টানা চার ম্যাচ জিতেছি এবং সবগুলো ম্যাচই আমাদের কাছে নক-আউট ম্যাচ ছিলো। তাই আমরা ফুরফুরা মেজাজে রয়েছি এবং ভালো অবস্থায় রয়েছি। তারপরও আমাদের আরও ভালো পারফরমেন্স করতে হবে। আমাদের ব্যাটিং লাইন-আপ অনেক বেশি কার্যকর। শীর্ষ সাত ব্যাটসম্যানই পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে অবদান রেখেছে। আমরা ব্যাট-বল হাতে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছি।’

শান্তর প্রশংসা করে ফষ্টার বলেন, ‘বিস্ময়কর। ছেলেরা দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে সে কারণেই আমরা ফাইনাল খেলার সুযোগ পেলাম। তাদের ফর্মে আমি সত্যি অনেক বেশি খুশী। তারা খুবই আত্মবিশ্বাসী। তবে দুজন বা তিনজনের জন্য নয়, টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের জন্য অবদান রাখছেন খেলোয়াড়রা।

 

 

 

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন