টমেটো-গাজরের কেজি ১০০ টাকা

টমেটো-গাজরের কেজি ১০০ টাকা

গত সপ্তাহের তুলনায় শসার দাম কিছু কমলেও টমেটো ও গাজরের দাম বেড়েছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে আমদানি করা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর। বৃষ্টির কারণে গত সপ্তাহে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়া শসা কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজিতে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, লকডাউনের সঙ্গে বৃষ্টির কারণে গত দু’তিন দিন সবজির কিছুটা সংকট ছিল। সেজন্য প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছিল। এখনও বেশিরভাগ সবজি সে দামেই বিক্রি হচ্ছে। তারা বলেন, কাঁচাবাজার সবসময় এক রকম থাকে না, এটা ওঠানামা করে। সকালে দাম বাড়লে, বিকেলে কমে যায়।

শনিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে আমদানি করা ভালোমানের টমেটো ৪০০-৪২০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে। সে টমেটো খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। আর দেশি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী উত্তম কুমার ঢাকা পোস্টকে বলেন, টমেটোর মৌসুম শেষ তাই দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, এখন ১০০ টাকা বিক্রি করছি, কয়দিন পর দাম আরও বাড়বে। কারণ নতুন টমেটো আসছে না।

তিনি বলেন, করোনা যে হারে বাড়ছে, তাতে ক’দিন পর টমেটো বাজারে খুঁজে পাওয়া যাবে না। টমেটোর মতো কারওয়ান বাজারে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে গাজর।

রামপুরা বাজারে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন দৈনিক আগামীর সময়কে বলেন, টমেটো ও গাজরের দাম অনেক, ১০০ টাকার নিচে বিক্রি করতে পারছি না।

তবে দু’দিন আগে হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া শসার দাম কিছুটা কমেছে। ১০০ টাকা থেকে নেমে শসা এখন ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শসার দামেই রাজধানীর বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে করলা।

ঝিঙ্গা, বরবটি, চিচিঙ্গা, বেগুন, কচুরলতি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে। আর ৬০ টাকার নিচে রয়েছে পটল, ঢেঁড়স, পেঁপের দাম। ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচাকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।

dhakapost

দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। আর বিদেশি বড় দানার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা কেজিতে। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে।

মাস-মাংসের দামের অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারগুলোতে তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিতে। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে। মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে।

চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি। পাবদা মাছের কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। রূপচাঁদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকায়।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৫৭০-৬০০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০-১৩৫ টাকা। লেয়ারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালী মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা।

আপনি আরও পড়তে পারেন