টানা বৃষ্টিতে যানজটে নাকাল নগরবাসী

গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা, সেদিন রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৩৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। স্বাভাবিকভাবে বৃষ্টির প্রত্যাশায় ছিল নগরবাসী। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হতেই তা আবার আরেকটি দুর্ভোগে রূপ নিয়েছে। এমনিতেই বৃষ্টি হলেই রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। এই কারণে জলজট তো রয়েছে, সাথে রাজধানীর বেশির এলাকা রাস্তাঘাটের বেহাল দশা বাড়িয়ে দিয়েছে দুর্ভোগ। তাই ভারি বৃষ্টি না হলেও রাস্তায় গর্তের কারণে কৃত্রিম যাটজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মমুখী মানুষ।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভারি বৃষ্টি না হলেও রাজধানীর মালিবাগ, পল্টন, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, বনানী, বাড্ডা, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, শ্যামলী, আসাদগেটসহ বেশিরভাগ এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে ভারি বর্ষণ হয়। এতে তলিয়ে যায় রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকা। কোথাও কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোথাও আবারও কোমর সমান পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়েছিল নগরবাসীর। রাতভর বৃষ্টির পর সকাল থেকে আবারও শুরু হয়েছে একটানা বৃষ্টি। এতে, ট্রাফিক ব্যবস্থা কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ায় এবং রাস্তায় ছোট-বড় অসংখ্যা গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সাভার থেকে কর্মস্থল কাওরানবাজারের উদ্দেশ্যে বের হন বাবু নামের একজন সরকারি কর্মকর্তা। প্রতিদিন সময় মতো অফিসে পৌঁছতে পারলেও তীব্র যানজটে এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় যখন তার সঙ্গে কথা হয় তখনও তিনি দারুস সালাম অতিক্রম করতে পারেননি। বলছিলেন, আজ আর ৯টার মধ্যে অফিসে পৌঁছানো সম্ভব হবে না।

যাত্রাবাড়ী থেকে বারিধারার উদ্দেশ্যে বের হন শরীফ খান নামের একজন কর্মজীবী মানুষ। কিন্তু সিএনজিতে করে রওনা দিয়েও যানজটে আটকে থাকার যন্ত্রণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হলেও আজ রাস্তায় জলাবদ্ধতা নেই। কিন্তু তারপরও রাস্তায় ভয়াবহ যানজট।

মিরপুর থেকে কর্মস্থল কুড়িল বিশ্বরোডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তানিয়া আক্তার নামের এক নারী। তিনিও জানান, আজ রাস্তায় জলাবদ্ধতা নেই। তারপরও তীব্র যানজট। রাস্তায় গর্ত ও বৃষ্টির কারণে ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় সেভাবে টহল দিতে না পারায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে মনে করেন তিনি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment