ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে পড়েও বেঁচে গেল বাচ্চাটি

প্রতিদিন আমরা কতই না অবাক করা ঘটনা দেখছি। কিন্তু এবার ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে চলে গিয়েও প্রাণে বেঁচে গেল ২ বছরের একটি বাচ্চা। এ যেন আরও বেশি অবাক করার মত কাণ্ড। সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে সন্তান ফিরে আসায় খুশি তার মা।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির ফরিদাবাদে। বাচ্চাটি একটি ছেলে। তার নাম একরত্তি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাবা, মা এবং এক দাদার সঙ্গে দিল্লির ফরিদাবাদের বল্লভগড় স্টেশনের কাছেই বাস করে ওই বাচ্চা ও তার পরিবার। দাদার সঙ্গে রেললাইনের পাশে খেলা করছিল বাচ্চাটি।বড় দাদারও বয়স বেশি নয়।  খেলতে খেলতে আচমকাই ছোট ভাইকে ধাক্কা দেয় সে। সেই ধাক্কায় সোজা রেললাইনের উপরে পড়ে যায় ছেলেটি। ঠিক সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসছিল একটি মালবাহী ট্রেন। কিন্তু ট্রেনচালক দূর থেকেই দেখতে পান যে রেললাইনের উপর একটি বাচ্চা পড়ে রয়েছে। ট্রেন চালক সজোরে হর্ন দিতে থাকেন।

দূর থেকে ট্রেন যে ক্রমশ ভাইয়ের দিকে এগিয়ে আসছে তা টের পায় সেই বাচ্চার দাদা। তখন হতচকিত হয়ে যায় সে। কীভাবে ভাইকে রক্ষা করবে তা বুঝতে পারছিলো না বাচ্চার দাদা। তাই চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে তার দাদা। তবে মালগাড়ির চালক বাচ্চাটিকে রক্ষা করতে তৎপর হয়ে ওঠেন। তাড়াতাড়ি করেই ট্রেনের ব্রেক করলেন ট্রেন চালক।

ব্রেক করলে মাঝপথে থেমে যায় মালবাহী ট্রেনটি। যদিও ইঞ্জিনের নিচে চলে যায় বাচ্চাটি। ততক্ষণে অবশ্য রেললাইনের আশেপাশে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে। প্রত্যেকে চিৎকার চেঁচামেচিও করতে শুরু করেছেন।

তবে কথায় আছে, রাখে আল্লাহ তো মারে কে? ঠিক সেভাবেই ইঞ্জিনের নিচ থেকে বের করা হয় বাচ্চাটিকে। তার গায়ে একটি আঁচড়ও লাগেনি। এরপর সুস্থভাবে শিশুকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সন্তানকে ফিরে পেয়ে খুশি বাচ্চার মা।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখে পুরো ঘটনাটি জানান চালক দিওয়ান সিং এবং তার সহকারী অতুল আনন্দ। যা বর্তমানে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য চালককে পুরষ্কার দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।

আপনি আরও পড়তে পারেন